ETV Bharat / state

Loadshedding in Kolkata: তীব্র গরমে দোসর লোডশেডিং ! সিইএসসি বলছে 'ফিউজ ট্রিপ'

কলকাতা ও তার আশপাশে শহরতলিতে প্রায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাচ্ছে ৷ বিগত দু-তিন দশকে এমনটা হয়নি ৷ ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন বা সিইএসসি-র অভিযোগ, তাদের না-জানিয়ে বাড়িতে এসি মেশিন বসানো হচ্ছে বলেই এই দুর্ভোগ ৷

ETV Bharat
বিদ্যুৎ বিভ্রাট
author img

By

Published : Jun 9, 2023, 6:46 AM IST

Updated : Jun 9, 2023, 7:24 AM IST

কলকাতা, 9 জুন: বাইরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঘরের ভিতরে বাতানুকুল যন্ত্র ৷ কতক্ষণে সব কাজ সেরে ওই ঠান্ডা ঘরে বিশ্রাম নেওয়া যায় ? এই গরমে এটাই একমাত্র ইচ্ছে ৷ কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট ৷ রাত হোক বা দিন- আচমকা লোডশেডিং সঙ্গী কলকাতার ৷ তাই ঠান্ডা ঘরের বিশ্রামের আকাঙ্ক্ষা এখন শুধু স্বপ্নই ৷ বর্তমানে লোডশেডিংয়ে জেরবার কলকাতা ৷ ভ্য়াপসা আবহাওয়ায় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছে কলকাতাবাসী ৷

এর কারণ কী ? প্রশ্ন উঠছে সিইএসসির ভূমিকা নিয়ে ৷ এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাটি অভিযোগ মানতে নারাজ ৷ সিইএসসির দাবি, আমজনতা নিয়মে ফাঁকি দিচ্ছে ৷ অন্ধকারে রাখছে বিদ্যুৎ দফতরকে ৷ তাই মাঝেমধ্যেই লোডশেডিংয়ে ডুবে যাচ্ছে এলাকা ৷ সিইএসসি-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ জানান, লোডশেডিংয়ের হওয়ার পিছনে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই ৷ মানুষ এসি মেশিন লাগাচ্ছে ৷ আর তা করা হচ্ছে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা না বলেই ৷ বাড়িতে এসি মেশিন লাগাতে হলে সিইএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় ৷

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত সাব স্টেশনের কর্মীরা

এতে কোনও জায়গায় কতটা বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে সেই হিসেবনিকেশ থাকে কর্তৃপক্ষের কাছে ৷ সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছে না ৷ সংস্থাকে না-জানিয়ে শীতাতপ যন্ত্র লাগানোর ফলে বিদ্যুতের লোড সংক্রান্ত ধারণা কর্তৃপক্ষের কাছে থাকছে না ৷ তবে এই ঘটনাকে লোডশেডিং বলতে রাজি নয় সিইএসসি ৷ সিইএসসি-র কথায় হঠাৎ বিদ্যুৎ না-থাকার ঘটনা আসলে 'ফিউজ ট্রিপ' ৷

কলকাতা ছাড়াও আশেপাশের বেশ কিছু জেলাতেও সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে ৷ ফলে সে সব জেলার মানুষদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ বর্তমানে বহু অফিসেই অনলাইনে কাজ হয় ৷ হঠাৎ বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে সেই সব অফিসের মাথায় হাত ৷ হাওড়ার রামরাজাতলার বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৷ তিনি জানালেন, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না ৷ ল্যাপটপ বন্ধ করে দিতে হয় ৷ তখন অফিসের কাজও বন্ধ হয়ে যায় ৷ প্রতিদিন এভাবে চলছে ৷ শুচিস্মিতা আরও বলেন, "প্রতি মাসে সিইএসসির পক্ষ থেকে কর্মীরা মিটারের রিডিং দেখতে আসেন ৷ তাঁরা ভালো করে সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে না কেন ?" অভিযোগ মানতে নারাজ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ৷

আরও পড়ুন: মিটারের গায়ে থাকলে হলুদ পতাকা থাকলেই বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, অভিযোগ কোম্পানির

কলকাতা, 9 জুন: বাইরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঘরের ভিতরে বাতানুকুল যন্ত্র ৷ কতক্ষণে সব কাজ সেরে ওই ঠান্ডা ঘরে বিশ্রাম নেওয়া যায় ? এই গরমে এটাই একমাত্র ইচ্ছে ৷ কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিদ্যুৎবিভ্রাট ৷ রাত হোক বা দিন- আচমকা লোডশেডিং সঙ্গী কলকাতার ৷ তাই ঠান্ডা ঘরের বিশ্রামের আকাঙ্ক্ষা এখন শুধু স্বপ্নই ৷ বর্তমানে লোডশেডিংয়ে জেরবার কলকাতা ৷ ভ্য়াপসা আবহাওয়ায় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছে কলকাতাবাসী ৷

এর কারণ কী ? প্রশ্ন উঠছে সিইএসসির ভূমিকা নিয়ে ৷ এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাটি অভিযোগ মানতে নারাজ ৷ সিইএসসির দাবি, আমজনতা নিয়মে ফাঁকি দিচ্ছে ৷ অন্ধকারে রাখছে বিদ্যুৎ দফতরকে ৷ তাই মাঝেমধ্যেই লোডশেডিংয়ে ডুবে যাচ্ছে এলাকা ৷ সিইএসসি-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ জানান, লোডশেডিংয়ের হওয়ার পিছনে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই ৷ মানুষ এসি মেশিন লাগাচ্ছে ৷ আর তা করা হচ্ছে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা না বলেই ৷ বাড়িতে এসি মেশিন লাগাতে হলে সিইএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় ৷

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত সাব স্টেশনের কর্মীরা

এতে কোনও জায়গায় কতটা বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে সেই হিসেবনিকেশ থাকে কর্তৃপক্ষের কাছে ৷ সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছে না ৷ সংস্থাকে না-জানিয়ে শীতাতপ যন্ত্র লাগানোর ফলে বিদ্যুতের লোড সংক্রান্ত ধারণা কর্তৃপক্ষের কাছে থাকছে না ৷ তবে এই ঘটনাকে লোডশেডিং বলতে রাজি নয় সিইএসসি ৷ সিইএসসি-র কথায় হঠাৎ বিদ্যুৎ না-থাকার ঘটনা আসলে 'ফিউজ ট্রিপ' ৷

কলকাতা ছাড়াও আশেপাশের বেশ কিছু জেলাতেও সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে ৷ ফলে সে সব জেলার মানুষদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ বর্তমানে বহু অফিসেই অনলাইনে কাজ হয় ৷ হঠাৎ বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে সেই সব অফিসের মাথায় হাত ৷ হাওড়ার রামরাজাতলার বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৷ তিনি জানালেন, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না ৷ ল্যাপটপ বন্ধ করে দিতে হয় ৷ তখন অফিসের কাজও বন্ধ হয়ে যায় ৷ প্রতিদিন এভাবে চলছে ৷ শুচিস্মিতা আরও বলেন, "প্রতি মাসে সিইএসসির পক্ষ থেকে কর্মীরা মিটারের রিডিং দেখতে আসেন ৷ তাঁরা ভালো করে সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে না কেন ?" অভিযোগ মানতে নারাজ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ৷

আরও পড়ুন: মিটারের গায়ে থাকলে হলুদ পতাকা থাকলেই বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, অভিযোগ কোম্পানির

Last Updated : Jun 9, 2023, 7:24 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.