কলকাতা, 20 জুলাই: এবার সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কলকাতার দায়িত্বে থাকা জয়েন্ট ডিরেক্টর এস বেণুগোপালকে বদলি করা হল । তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে হায়দরাবাদে । তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে 2003 সালের ব্যাচের আইপিএস রাজেশ প্রধানকে । রাজেশ প্রধান ছিলেন মহারাষ্ট্রের আইপিএস আধিকারিক । সম্প্রতি তাঁকে ডেপুটেশনে সিবিআই-তে আনা হয় ৷
কলকাতার নিজাম প্যালেসের 15 তলায় রয়েছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিস । সেখান থেকেই কয়লা পাচার থেকে গরুপাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পৌর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করে সিবিআই ৷ দুর্নীতি দমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর হিসেবে এস বেণুগোপাল সব দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন ৷
এই দুর্নীতিগুলির তদন্ত চলছে৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট গ্রেফতার হয়েছেন ৷ অনেককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা ৷ এই পরিস্থিতিতে কেন কলকাতায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টরকে বদল করা হয়, সেই নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে ৷ সিবিআইয়ের তরফে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি ৷
তবে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, একাধিক দুর্নীতির তদন্তের গতি নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে ৷ বিশেষ করে এই প্রশ্ন একাধিকবার করেছে আদালত ৷ এমনকী, আদালতের তরফে দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরের কাছেও এই প্রশ্ন তোলা হয় ৷ যদিও এই রাজ্যে সিবিআইয়ের আধিকারিকের সংখ্যার অপ্রতুলতাই তদন্তের শ্লথগতির কারণ হিসেবে বারবার উঠে এসেছে ৷
এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় দুর্নীতি দমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টরকেই বদলে দিল সিবিআই ৷ একটি সূত্র বলছে যে এই রদবদলের পর ফের রাজ্যে কয়লাপাচার, গরুপাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তের গতি বৃদ্ধি পাবে । অভিযুক্তদের ধরপাকড় নতুন করে শুরু হবে ।
আরও পড়ুন: ইডির পর এবার সিবিআইয়ের নজরে সায়নী
তবে আধিকারিকের অপ্রতুলতা যদি তদন্তের শ্লথগতির কারণ হয়, তাহলে মাথায় থাকা আধিকারিককে বদলে কি তদন্তের গতি ফেরানো যাবে ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি ৷