কলকাতা, 9 অগস্ট: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের চারজন প্রাথমিক শিক্ষকের গ্রেফতারির পর, বুধবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে বাঁকুড়া জেলার সাতজন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করা হয়েছিল । সূত্রের খবর, এই সাত শিক্ষকের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে ৷ বাঁকুড়ার এই সাত জন শিক্ষককে পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা । তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয় । জানা গিয়েছে, এই সাত জন শিক্ষকের মধ্যে তিন জন শিক্ষক সরাসরি তাপস মণ্ডলকে টাকা দিয়েছিলেন । এদিন তাঁদের নথিপত্র সমেত নিজাম পাল এসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ।
সেই অনুযায়ী ওই সাতজন শিক্ষক নথিপত্র সমেত নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হন এদিন । জানা গিয়েছে, 2014 সালের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ পত্র পান ওই সাত শিক্ষক ৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বাধীনকুমার পাল, সায়নতি বেজ, প্রিয়াঙ্কা লাহা, গণপতি মাহাতো , প্রিয়াঙ্কা নন্দী , হরেন্দ্র নাথ ধারা, পারমিতা সিনহা মহাপাত্র । এই সাত জন শিক্ষক বাঁকুড়ার শালতোড়া, দক্ষিণ বিষ্ণুপুর, রানিবাঁধ-সহ একাধিক এলাকার স্কুলে কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন । এদিন 4 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় ৷
কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলার চারজন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করেছিল আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালত । সেখানে বিচারক এই চার জন শিক্ষককে দেখে জানান, এনারা প্রত্যেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ফলে এদের সাক্ষী হিসেবে ডেকে কি লাভ । এরপর আদালতের নির্দেশে ওই শিক্ষকদের গ্রেফতার করা হয় এবং ধৃতদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: 'নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি', নয়া মামলায় মানিককে জেরার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অনেকদিন মাস ধরেই করছে সিবিআই ও ইডি এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ৷ তদন্তে মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ শিক্ষা দফতরের অনেক মাথাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কিন্তু প্রভাবশালীদের গ্রেফতার করা হলেও যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাদেরকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি সেই প্রশ্নও উঠে ৷ এর পরেই সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলায় বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকার নথিপত্র তাদের কাছে রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিল ৷ এরপরেই মুর্শিদাবাদ জেলার চার জন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয় ও বাঁকুড়ার 7 জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ৷ ইতিমধ্যেই এই সাত জন শিক্ষকের 2014 সালের টেটের নথি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা ৷