ETV Bharat / state

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের - Highcourt dismissed appeal

প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয় ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে । প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সেই আবেদন আজ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 13, 2019, 8:39 PM IST

কলকাতা, 13 অগাস্ট : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে আগেই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট ৷ এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী ও হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই সিদ্ধান্ত জানান ৷

2014 সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ জানানো হয় 2015-র 11 অক্টোবর হবে TET-এর লিখিত পরীক্ষা ৷ পরীক্ষায় বসেন প্রায় 23 লাখ প্রার্থী ৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন প্রার্থী RTI করেন ৷ তাঁরা জানতে পারেন, 11 টি প্রশ্নের মাল্টিপল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হিসেবে যে চারটি অপশন ছিল তার সবকটিই ছিল ভুল ৷ এরপর শতাধিক TET-এ অসফল প্রার্থী সঠিক তদন্তের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন ৷

বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই মামলার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যর কাছে এক্সপার্ট ওপিনিয়ন চেয়েছিলেন ৷ তার জন্য বিচারপতি উপাচার্যকে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন ৷ যদি সেই কমিটি জানায় প্রশ্নপত্র ভুল তাহলে সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ এই রিপোর্ট বিশ্বভারতীকে খামবন্দী করে দিতে বলে হাইকোর্ট ৷ সেইমতো রিপোর্ট দেয় বিশ্বভারতী ৷ জানা যায়, 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল ৷ এরপরই 3 মাসের মধ্যে সমস্ত পদ্ধতি মেনে মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি ।

বসির আহমেদ নামে এক চাকরিপ্রার্থী এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান । বসির দাবি করেন, যেহেতু 2014-এ তিনিও পরীক্ষা দিয়েছেন তাই 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল থাকায় তাঁর নম্বর বাড়বে ৷ কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চে না গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার কারণ জানতে চেয়ে আদালত তাঁকে প্রশ্ন করে ৷ এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বসির আহমেদ নিয়োগের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন ৷

সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হেমন্ত গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন । পরে 1 এপ্রিল পুরো বিষয় শোনার পর সুপ্রিমকোর্ট জানায়, যেহেতু মূল মামলাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন তাই সেখানেই মামলাটির নিস্পত্তি করতে হবে । পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল সেটাও তুলে নেয় সুপ্রিমকোর্ট ।

প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিচরপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয় ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে । প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সেই আবেদন আজ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ ।

কলকাতা, 13 অগাস্ট : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে আগেই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট ৷ এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আর্জি খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী ও হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই সিদ্ধান্ত জানান ৷

2014 সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ জানানো হয় 2015-র 11 অক্টোবর হবে TET-এর লিখিত পরীক্ষা ৷ পরীক্ষায় বসেন প্রায় 23 লাখ প্রার্থী ৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন প্রার্থী RTI করেন ৷ তাঁরা জানতে পারেন, 11 টি প্রশ্নের মাল্টিপল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হিসেবে যে চারটি অপশন ছিল তার সবকটিই ছিল ভুল ৷ এরপর শতাধিক TET-এ অসফল প্রার্থী সঠিক তদন্তের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেন ৷

বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই মামলার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যর কাছে এক্সপার্ট ওপিনিয়ন চেয়েছিলেন ৷ তার জন্য বিচারপতি উপাচার্যকে এক্সপার্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন ৷ যদি সেই কমিটি জানায় প্রশ্নপত্র ভুল তাহলে সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ এই রিপোর্ট বিশ্বভারতীকে খামবন্দী করে দিতে বলে হাইকোর্ট ৷ সেইমতো রিপোর্ট দেয় বিশ্বভারতী ৷ জানা যায়, 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল ৷ এরপরই 3 মাসের মধ্যে সমস্ত পদ্ধতি মেনে মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি ।

বসির আহমেদ নামে এক চাকরিপ্রার্থী এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান । বসির দাবি করেন, যেহেতু 2014-এ তিনিও পরীক্ষা দিয়েছেন তাই 6 টি প্রশ্নের উত্তর ভুল থাকায় তাঁর নম্বর বাড়বে ৷ কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চে না গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার কারণ জানতে চেয়ে আদালত তাঁকে প্রশ্ন করে ৷ এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বসির আহমেদ নিয়োগের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন ৷

সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হেমন্ত গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন । পরে 1 এপ্রিল পুরো বিষয় শোনার পর সুপ্রিমকোর্ট জানায়, যেহেতু মূল মামলাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন তাই সেখানেই মামলাটির নিস্পত্তি করতে হবে । পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল সেটাও তুলে নেয় সুপ্রিমকোর্ট ।

প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিচরপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয় ৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলাটি বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে । প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সেই আবেদন আজ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ ।

Intro:নিয়োগের উপর কোনো স্থগিতাদেশ নয়, প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের আর্জি খারিজ Body:মানস নস্কর --

নিয়োগের উপর কোনো স্থগিতাদেশ নয়,ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদকে

কলকাতা ১৩ অগাস্ট ঃ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের উপর আগেই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। এবার প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের আর্জি ও খারিজ করলো হাইকোর্ট। বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী ও হিরন্ময় ভট্রাচার্জর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকার নিয়োগের উপর যে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল তা খারিজ করে দিলো আজ।

মুল বিষয় হলো,
২০১৪সালের টেট পরীক্ষার ১১টি প্রশ্নপত্রের উত্তর হিসাবে যে চারটি অফশান দেওয়া হয়েছিল তার সবকটি ভুল এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১০০জনের ও বেশী চাকরি প্রার্থী।
২০১৪সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী
লিখিত পরীক্ষা হয় ১১ অক্টোবর ২০১৫। প্রায় ২৩ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষায় বসেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন প্রার্থী আরটিআই(তথ্য জানার অধিকার আইন) করে। জানা যায়, ১১ টি প্রশ্নের মাল্টিপল চয়েজের চারটি উত্তরের কোনোটিই সঠিক নয়। এরপর একশো জনের ওপর টেট অসফল প্রার্থী মামলা করেন হাইকোর্টে সঠিক তদন্তের জন্য।
বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়
বিশ্বভারতীর উপাচার্যর কাছে এক্সপার্ট ওপিনিয়ন চেয়েছিলেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য এক্সপার্ট কমিটি গঠন করবেন এবং যদি বিশ্বভারতী প্রশ্নপত্র ভুল বলে তাহলে সেই অনুযায়ী রাজ্যসরকারকে ব্যাবস্থা নিতে হবে। বিশ্বভারতীকে খামবন্দি করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট জমা পড়লে দেখা যায় ৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল বলে জানায় বিশেষজ্ঞ কমিটি। এরপরই ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সমস্ত পদ্ধতি মেনে নিয়োগ দিতে হবে মামলাকারীদের বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি।

এরপর বসির আহমেদ নামে এক চাকরি প্রার্থী পরে হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান।তার দাবি ছিল, যদি ৬ টি প্রশ্নের উত্তরে ভুল থাকে তাহলে ঐ বছরে তিনিও পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাহলে তারও নম্বর বাড়লে তিনিও সুজোগ পেতে পারেন।কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ বলে আপনি সিংগল বেঞ্চে না গিয়ে আগেই ডিভিশন বেঞ্চ কেন এসেছেন? এর মধ্যেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বসির আহমেদ সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন
নিয়োগের দাবিতে। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হেমন্ত গুপ্তার
ডিভিশন বেঞ্চ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।পরে ১ লা এপ্রিল পুরো বিষয় শোনার পর সুপ্রিমকোর্ট তাদের পর্জবেক্ষনে জানায় যেহেতু মুল মামলাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন তাই সেখানেই মামলাটির নিস্পত্তি করতে হবে। এবং যে স্থগিতাদেশ ছিল নিয়োগের উপর সেটাও তুলে নেয় সুপ্রিমকোর্ট। আজ আবার মামলাটি বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। কারন প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের তরফে হাইকোর্টে একটা আবেদন জানানো হয় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের উপর একটা স্থগিতাদেশ চেয়ে।সেটাই আজ খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.