কলকাতা, 6 জুন: নির্বাচনের সময়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদেরও কাজে লাগানো হয় ৷ এই প্রক্রিয়া বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল । এই মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলো প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ । আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে ।
এই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেন, "বর্তমানে সরকারি অফিসগুলোতে বেশিরভাগ চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী । বাস্তবটা তো মানতে হবে ! না-হলে নির্বাচন করা বন্ধ করে দিতে হবে ৷" এদিন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, এ ব্যাপারে কমিশনের কী বক্তব্য। কিন্তু আইনজীবী জানান এ ব্যাপারে জানাতে সময় দিতে হবে তাঁকে । পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দাবি, সাধারণত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয় না ।
পালটা মামলাকারী আইনজীবী সুবীর সান্য়াল বলেন, "হাওড়া পৌরসভার ডাটা এন্ট্রি অফিসারকে পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে পুর নির্বাচনে । সাফাইকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে সেই নথিও রয়েছে । আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বন্ধ করা হোক এটা । তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার আগে আদালত এই ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিক কাদের নির্বাচনের কাজে লাগানো যাবে আর কাদের যাবে না ।"
আরও পড়ুন: রস্টার পরিবর্তন হলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও মান্থার বিচার্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকছে
চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ও মজদুরদের নির্বাচনের কাজে লাগানো হয়েছে বিগত বেশ কিছু নির্বাচনে ৷ যা আইনবিরুদ্ধ কাজ বলে দাবি । কারণ নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা রয়েছে, সেখানেও কোথাও এই ধরনের কর্মচারীদের নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের কথা উল্লেখ নেই । তাই অবিলম্বে এদের ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী ।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন । নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাবহার থেকে শুরু করে সংরক্ষণের তালিকা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । যদিও এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।