কলকাতা, 6 অক্টোবর: কামদুনি ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে দোষীরদের সাজার মেয়াদ কমে গেল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ৷ এই ঘটনায় কলকাতা নগর দায়রা আদালত দু’জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল ৷ কিন্তু শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ৷ পাশাপাশি চার অভিযুক্তকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ এর আগে নিম্ন আদালত এই চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল ৷
উল্লেখ্য, 2013 সালের জুন মাসে ওই নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল কামদুনিতে । এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে ৷ এই নিয়েই সেই সময় প্রতিবাদে সরব হয়েছিল কামদুনি-সহ সারা রাজ্য ৷ ওই ঘটনায় 2016 সালে ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কলকাতা নগর দায়রা আদালত । ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সইফুল আলি, আনসার আলিকে ৷ তাদের ফাঁসির সাজা দেয় নিম্ন আদালত ৷ কিন্তু শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই দু’জনকে ফাঁসির সাজার বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ৷
অন্যদিকে আমিন আলি, আমিনুল ইসলাম, ভোলা নস্কর ও এনামুল হককে নিম্ন আদালত ধর্ষণ ও খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার জন্য দোষীসাব্যস্ত করে ৷ তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত ৷ কিন্তু এ দিন তাদেরও সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট৷ তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। কিন্তু 10 বছর জেল খাটা হয়ে যাওয়ার জন্য এদের 10 হাজার টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ।
প্রসঙ্গত, দোষী সাব্যস্তদের সাজা মকুবের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল ৷ পাশাপাশি দ্রুত বিচারের দাবিও উঠেছিল । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলে শুনানি । গত 24 জুলাই বিচারপতি বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়ে গেলেও রায়দান স্থগিত রাখা হয় ৷ এই মামলা সংক্রান্ত কিছু রিপোর্টও জমা পড়ে হাইকোর্টে । এ দিন রায় ঘোষণা করল হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মামলা, রায়দান স্থগিত হাইকোর্টে