গঙ্গাসাগর, 12 জানুয়ারি: আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গঙ্গাসাগর ও কপিলমুনি আশ্রম । কথায় বলে সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার । আর সেই কথাকে স্মরণ করেই যেন বছরের পর বছর ধরে লাখো লাখো পুণ্যার্থীদের ঢল নামে গঙ্গাসাগরে । তবে পুণ্যলাভের আশায় এসে এবার গঙ্গাসাগরে উপরি পাওনা বারাণসী ও হরিদ্বারের আদলে অভিনব গঙ্গা আরতি ।
যা দেখে অভিভূত গঙ্গাসাগরে আগত এক পুণ্যার্থী মুরারিমোহন দাস ৷ তাঁর কথায়, "গঙ্গা আরতি দেখে মন ভরে গিয়েছে ৷ ব্যবস্থা খুব সুন্দর ৷ আমরা যেখানে থাকছি সেখান থেকে হাতে টোকেন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে ৷ যাতে হারিয়ে গেলেও খুঁজে পেতে অসুবিধা না হয় ৷ এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে যে সমস্ত ভলান্টিয়াররা রয়েছে তারা খোঁজ নিচ্ছেন আমাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা ৷ মেলা প্রাঙ্গণে আগুন জ্বালাতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ৷ খুব ভালো লাগছে ৷"
11, 12 ও 13 জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুণ্যার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে । শনিবার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও কপিলমুনি মন্দিরের মোহন্ত জ্ঞানদাসের উত্তরসূরি সঞ্জয় দাসের উপস্থিতিতে গঙ্গা আরতির শুভ সূচনা করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ।
মেলা ও পুণ্যস্নানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মোতায়েন রয়েছে কয়েকহাজার পুলিশ । পাশাপাশি সাগরে পুণ্যস্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম । এবারের গঙ্গা আরতির জন্য অযোধ্যা থেকে মহন্তদের নিয়ে আসা হয় । তাঁদের দেখতেও নামে মানুষের ঢল ।