ETV Bharat / state

Calcutta High Court: কলকাতা বন্দরের কো-অপারেটিভের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, হলফনামা তলব হাইকোর্টের - শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে ৷ বিষয়টি নিয়ে হলফনামা তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷

ETV Bharat
ফাইল ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 15, 2023, 3:51 PM IST

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত সংগঠনের বিরুদ্ধে । এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে 29 সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার । কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও রিটার্নিং অফিসারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাঁদের বক্তব্য । এর পালটা বক্তব্য থাকলে মামলাকারীরা পরে তা আদালতে জানাবে । 12 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি । আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত 30 নভেম্বর পর্যন্ত স্পেশাল অফিসার এই কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাজকর্ম দেখবেন ৷

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচন হয় 12 সেপ্টেম্বর ৷ ওইদিনই ফল প্রকাশিত হয় । মামলাকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন রুল এবং রেগুলেশন অনুযায়ী হয়নি । বিরোধীদের ইলেকশন এজেন্ট এবং কাউন্টিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি । সিসিটিভির উপর কাপড় লাগানোর অভিযোগ রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন বাতিল করার আবেদন জানিয়ে মামলা রুজু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে ।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী শুভঙ্কর নাগ এই প্রসঙ্গে জানান, নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে । সিসিটিভি লাগানো হয়নি । রিগিং করা হয়েছে । ক্যামেরায় কাপড় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । রিটার্নিং অফিসারের তরফে আইনজীবী পালটা বলেন, "সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হয়েছে । এখন কারও কারও অভিযোগ থাকতেই পারে । তা দেখার জন্য ইলেকশন কমিশন রয়েছে । আইন অনুযায়ী কমিশন এই বিষয়ে দেখবেন । এখন সব কিছু হয়ে গিয়েছে । এখন আর স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত নয় ।" আইনজীবী শামিম আহমেদ সিটুর তরফে অভিযোগ করেন, কো-অপারেটিভ সোসাইটির যে নির্দিষ্ট রুল রয়েছে তা মানা হয়নি ।

এর জবাবে সোসাইটির তরফে আইনজীবী জানান, 12 সেপ্টেম্বর নির্বাচন হয় । প্রায় 38 জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন । তার মধ্যে চারজন হেরে যাওয়া প্রার্থী এখন হাইকোর্টে এসেছেন । 9 অগস্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল । তারপরেও নানা অভিযোগ করা হচ্ছে রেজাল্ট বেরোনোর পর । একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, আপাতত সমস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য । 12 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি ।

আরও পড়ুন: পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে 87 শিক্ষকের বদলি কীভাবে ? রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

মামলাকারীরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্টের কর্মচারী । 31 জুলাই সোসাইটির তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচনে ভোটার তালিকা ঠিক করার বিষয়ে জানানো হয় । পাশাপাশি ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার কথা বলা হলেও 4 অগস্ট কোনও বৈঠক না করেই 7 তারিখ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হয় । অভিযোগ, 1 হাজার 215 জন ভোটারের জন্য 7টি পোলিং স্টেশনের কথা বলে শেষমেশ মাত্র চারটি পোলিং বুথে ভোট নেওয়া হয় । 11টা থেকে 4টে পর্যন্ত ভোটের কথা বলা হলেও শেষে ওইদিন 12টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ভোট হয় । কিন্তু 1 হাজার 200-র বেশি ভোটার এই মুহূর্তে বহরমপুর, বজবজ, নিশ্চিন্তপুর ও হলদিয়ায় কর্মরত । বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পরাজিত প্রার্থীরা ।

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত সংগঠনের বিরুদ্ধে । এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে 29 সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার । কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও রিটার্নিং অফিসারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাঁদের বক্তব্য । এর পালটা বক্তব্য থাকলে মামলাকারীরা পরে তা আদালতে জানাবে । 12 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি । আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত 30 নভেম্বর পর্যন্ত স্পেশাল অফিসার এই কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাজকর্ম দেখবেন ৷

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচন হয় 12 সেপ্টেম্বর ৷ ওইদিনই ফল প্রকাশিত হয় । মামলাকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন রুল এবং রেগুলেশন অনুযায়ী হয়নি । বিরোধীদের ইলেকশন এজেন্ট এবং কাউন্টিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি । সিসিটিভির উপর কাপড় লাগানোর অভিযোগ রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন বাতিল করার আবেদন জানিয়ে মামলা রুজু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে ।

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী শুভঙ্কর নাগ এই প্রসঙ্গে জানান, নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে । সিসিটিভি লাগানো হয়নি । রিগিং করা হয়েছে । ক্যামেরায় কাপড় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । রিটার্নিং অফিসারের তরফে আইনজীবী পালটা বলেন, "সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হয়েছে । এখন কারও কারও অভিযোগ থাকতেই পারে । তা দেখার জন্য ইলেকশন কমিশন রয়েছে । আইন অনুযায়ী কমিশন এই বিষয়ে দেখবেন । এখন সব কিছু হয়ে গিয়েছে । এখন আর স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত নয় ।" আইনজীবী শামিম আহমেদ সিটুর তরফে অভিযোগ করেন, কো-অপারেটিভ সোসাইটির যে নির্দিষ্ট রুল রয়েছে তা মানা হয়নি ।

এর জবাবে সোসাইটির তরফে আইনজীবী জানান, 12 সেপ্টেম্বর নির্বাচন হয় । প্রায় 38 জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন । তার মধ্যে চারজন হেরে যাওয়া প্রার্থী এখন হাইকোর্টে এসেছেন । 9 অগস্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল । তারপরেও নানা অভিযোগ করা হচ্ছে রেজাল্ট বেরোনোর পর । একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, আপাতত সমস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য । 12 অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি ।

আরও পড়ুন: পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে 87 শিক্ষকের বদলি কীভাবে ? রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

মামলাকারীরা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্টের কর্মচারী । 31 জুলাই সোসাইটির তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচনে ভোটার তালিকা ঠিক করার বিষয়ে জানানো হয় । পাশাপাশি ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার কথা বলা হলেও 4 অগস্ট কোনও বৈঠক না করেই 7 তারিখ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হয় । অভিযোগ, 1 হাজার 215 জন ভোটারের জন্য 7টি পোলিং স্টেশনের কথা বলে শেষমেশ মাত্র চারটি পোলিং বুথে ভোট নেওয়া হয় । 11টা থেকে 4টে পর্যন্ত ভোটের কথা বলা হলেও শেষে ওইদিন 12টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ভোট হয় । কিন্তু 1 হাজার 200-র বেশি ভোটার এই মুহূর্তে বহরমপুর, বজবজ, নিশ্চিন্তপুর ও হলদিয়ায় কর্মরত । বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পরাজিত প্রার্থীরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.