ETV Bharat / state

জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার ভাবনা কলকাতা হাইকোর্টের - জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতাকারী

আদালত জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর উপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে । গোটা বিশ্বজুড়ে এই নিয়ম চালু হয়েছে ৷ সেই পথ নিল কলকাতা হাইকোর্টও ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Nov 21, 2019, 11:04 AM IST

Updated : Nov 21, 2019, 3:18 PM IST

কলকাতা, 21 নভেম্বর : কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা 40 । তার মধ্যে চার-পাঁচ জন চলে যান আন্দামান ও জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে । তাই জমতে জমতে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় 2 লাখ 30 হাজার । এই পরিস্থিতিতে জমে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প পথ খুঁজে বের করল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি নয়, মধ্যস্থতার মাধ্যমে ফয়সালা হবে জমে থাকা মামলার । শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে কোনও খরচও দিতে হবে না ।

আদালত জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর উপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে । গোটা বিশ্বজুড়ে এই নিয়ম চালু হয়েছে ৷ সেই পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টও ৷ এবিষয়ে রাজ্যের মানুষকে অবগত করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা শিবিরেরে আয়োজন করেছিল হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ । গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে মধ্যস্থতাকারীর বিষয়টি জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য...

কে এই মধ্যস্থতাকারী ? তার ভূমিকাই বা কী ?

বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মামলার দু'পক্ষই বসে চিন্তাভাবনা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারে । আবেদনকারীদের আইনজীবী থাকা বাধ্যতামূলক নয় । থাকবেন না বিচারপতিও । তবে, হাইকোর্টের তরফে একজন আইন বিশারদ নিযুক্ত করা হবে । তিনিই সংশ্লিষ্ট মামলায় দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করবেন । এই আইন বিশারদই পরিচিত হবেন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে । এই মধ্যস্থতাকারীদের একটি প্যানেল তৈরি করা হবে । সেই প্যানেলে বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত আইন বিশারদ থাকবেন । পরে মামলা অনুযায়ী ওই প্যানেল থেকে একজন আইন বিশারদকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হবে ।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, "এখানে কোনও হার-জিতের ব্যাপার নেই । দু'পক্ষই এখান থেকে জিতে বেরোতে পারবেন । আবেদনকারীকে কোনও খরচ দিতে হবে না । স্টেট লিগাল সার্ভিস অথোরিটি সমস্ত খরচ বহন করবে । গোটা রাজ্যে যেহেতু এই সংগঠন রয়েছে তাই সকল মানুষই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন ।"

কলকাতা, 21 নভেম্বর : কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা 40 । তার মধ্যে চার-পাঁচ জন চলে যান আন্দামান ও জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে । তাই জমতে জমতে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় 2 লাখ 30 হাজার । এই পরিস্থিতিতে জমে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প পথ খুঁজে বের করল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি নয়, মধ্যস্থতার মাধ্যমে ফয়সালা হবে জমে থাকা মামলার । শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে কোনও খরচও দিতে হবে না ।

আদালত জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর উপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে । গোটা বিশ্বজুড়ে এই নিয়ম চালু হয়েছে ৷ সেই পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টও ৷ এবিষয়ে রাজ্যের মানুষকে অবগত করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা শিবিরেরে আয়োজন করেছিল হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ । গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে মধ্যস্থতাকারীর বিষয়টি জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য...

কে এই মধ্যস্থতাকারী ? তার ভূমিকাই বা কী ?

বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মামলার দু'পক্ষই বসে চিন্তাভাবনা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারে । আবেদনকারীদের আইনজীবী থাকা বাধ্যতামূলক নয় । থাকবেন না বিচারপতিও । তবে, হাইকোর্টের তরফে একজন আইন বিশারদ নিযুক্ত করা হবে । তিনিই সংশ্লিষ্ট মামলায় দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করবেন । এই আইন বিশারদই পরিচিত হবেন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে । এই মধ্যস্থতাকারীদের একটি প্যানেল তৈরি করা হবে । সেই প্যানেলে বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত আইন বিশারদ থাকবেন । পরে মামলা অনুযায়ী ওই প্যানেল থেকে একজন আইন বিশারদকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হবে ।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, "এখানে কোনও হার-জিতের ব্যাপার নেই । দু'পক্ষই এখান থেকে জিতে বেরোতে পারবেন । আবেদনকারীকে কোনও খরচ দিতে হবে না । স্টেট লিগাল সার্ভিস অথোরিটি সমস্ত খরচ বহন করবে । গোটা রাজ্যে যেহেতু এই সংগঠন রয়েছে তাই সকল মানুষই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন ।"

Intro:জমে থাকা মামলার পাহাড় সরাতে এবার মধ্যস্থতাকারী (মিডিয়েশন) ভূমিকার উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট।


Body:জমে থাকা মামলার পাহাড় সরাতে এবার মধ্যস্থতা কারীর ভূমিকার উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। সারা বিশ্বেই বর্তমানে আদালত তাদের এই ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে ইতিমধ্যেই । এবং জমে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা একটি অত্যন্ত সময় উপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ।এ ব্যাপারে গোটা রাজ্যের মানুষকে ওয়াকিবহাল করতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ কলকাতা হাইকোর্টে এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন এই সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টেনডন। তিনি জানালেন," এখানে দু'পক্ষই বসে নিজে নিজেরা চিন্তাভাবনা করে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে। কোর্ট এখানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে। এখানে কোন হার-জিতের ব্যাপার নেই। দুপক্ষই এখান থেকে জিতে বেরোতে পারে। মধ্যস্থতা করবেন হাইকোর্টের তরফেই নিযুক্ত একজন ব্যক্তি। এর জন্য আবেদনকারীদেরকে কোন খরচ দিতে হবে না। স্টেট লিগাল সার্ভিস অথরিটি সমস্ত খরচ বহন করবে।" তিনি আরও জানালেন গোটা রাজ্যে আমাদের সংগঠন রয়েছে তাই গোটা রাজ্যের মানুষই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।

লোক আদালতের থেকে মধ্যস্থতা কারীর ভূমিকা আলাদা কোথায়? এ ব্যাপারে বিচারপতি জানালেন এখানে মধ্যস্থতা করবেন একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি। দু'পক্ষকে তিনি শুনবেন শুনে তাদের সমস্যা সমাধান করবেন। সম্পূর্ণটাই হবে আইনের পথেই। কারণ যিনি মধ্যস্থতা করবেন তিনি অবশ্যই একজন আইন বিশারদ হবেন।

হাইকোর্ট সূত্রে খবর কলকাতা হাইকোর্টে বর্তমানে প্রায় 2 লক্ষ 30 হাজার মামলা নিষ্পত্তি না হয়ে পড়ে রয়েছে। হাইকোর্টের বর্তমানে বিচারপতির সংখ্যা 40। এরমধ্যে মাঝেমধ্যেই চার-পাঁচজন করে চলে যান আন্দামান ও জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন জমে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি বিকল্প রাস্তা খুলে দিল হাইকোর্ট এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীরা।


Conclusion:
Last Updated : Nov 21, 2019, 3:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.