ETV Bharat / state

HC on Group D Case: চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের - গ্রুপ ডি কর্মী

1911 জন গ্রুপ ডি কর্মীর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের চাকরি বাতিলের (Job Cancelation of Group D Employees) নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে বলেছিলেন তিনি ৷ বৃহস্পতিবার বেতন ফেরতের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ ৷

HC on Group D Case
HC on Group D Case
author img

By

Published : Feb 16, 2023, 4:24 PM IST

Updated : Feb 16, 2023, 5:05 PM IST

চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: নিয়োগে দুর্নীতি (Bengal Recruitment Scam) হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে 1911 জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে ৷ আদালত তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের উপর আংশিক স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ গ্রুপ ডি কর্মীদের (Group D Employees) বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ তবে সিঙ্গল বেঞ্চের বাকি সব নির্দেশ বহালই রয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 3 মার্চ ৷ ওইদিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে ৷

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত 9 ও 10 ফেব্রুয়ারি পরপর দু’দিন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি খারিজ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের অনুমতি ছাড়া কোথাও চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে আদালত জানিয়েছিলেন । সঙ্গে ছিল বেতন ফেরতের বিষয়টিও ৷ এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীরা ।

এদিন শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবীদের তরফে আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সকলের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে । গ্রুপ ডি কর্মীদেরও আছে । দোষ প্রমাণ হওয়ার আগেই চাকরি চলে গেল ! আমরা শুধু বিচার চাই । আর বিচার সবার জন্য সমান হয় । গ্রুপ ডি এর কাজ খুব ছোট...... স্কুলে ঘণ্টা বাজানো ও খাতাপত্র এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া । তবুও তাঁদের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে ।" মামলাকারীদের তরফে আরও এক আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, "এখন সবাই সবার পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত । সকলে হাত তুলে নিচ্ছে । সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে চাকরি খারিজের আবেদন করাই হয়নি । তবে এই নির্দেশ কী করে সম্ভব ?"

এমনকী এদিন শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া হার্ড ডিস্কের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে শুনানিতে ৷ বলা হয়েছে, সিবিআই তো আইনের ঊর্ধে নয় !" মামলাকারীদের তরফে আর এক আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য, চাকরিহারাদের কথা না শুনেই রায় দেওয়া হয়েছে ৷ কিছু চাকরি প্রার্থীর ওএমআরে গন্ডগোল আছে মানে অধিকাংশের ওএমআর (OMR) ত্রুটিপূর্ণ, এটা হতে পারে না ৷ তাঁর আরও প্রশ্ন, সবটা প্রমাণ হওয়ার আগে কীভাবে চাকরি বাতিল হতে পারে ?

অন্যদিকে বেআইনি চাকরি প্রাপকদের বিরুদ্ধে সওয়ালকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, "যাঁদের চাকরি সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে গিয়েছে, তাঁরা কেউ সিঙ্গেল বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন নিজেদের বক্তব্য জানাতে আসেননি । এখন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ।" কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, "এই মামলা এক সময়ে রোজ শোনা হচ্ছিল সিঙ্গেল বেঞ্চে । আবেদনকারীরা যদি এখন বলেন, কমিশন যুধিষ্ঠির হয়ে গিয়েছে তবে বলতে হয়, না ! কমিশন হঠাৎ করে যুধিষ্ঠির হয়নি । কমিশনের দেড় বছর সময় লেগেছে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে সবটা বুঝে উঠতে । সিবিআই এই ডকুমেন্টস পেয়েছে আমাদেরই নিযুক্ত এজেন্সির থেকে ।" সিবিআই তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "গাজিয়াবাদ থেকে যে হার্ডডিস্ক সিবিআই পেয়েছে, তাতে যা নথি পেয়েছি, তাই আদালতে জমা দিয়েছি । তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালত নিয়েছে ।"

আরও পড়ুন: চাকরি গেল 1 হাজার 911 জন গ্রুপ-ডি কর্মীর, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: নিয়োগে দুর্নীতি (Bengal Recruitment Scam) হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে 1911 জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে ৷ আদালত তাঁদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের উপর আংশিক স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ গ্রুপ ডি কর্মীদের (Group D Employees) বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ তবে সিঙ্গল বেঞ্চের বাকি সব নির্দেশ বহালই রয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 3 মার্চ ৷ ওইদিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে বলে আদালত জানিয়েছে ৷

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত 9 ও 10 ফেব্রুয়ারি পরপর দু’দিন গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি খারিজ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ এই চাকরি প্রার্থীরা আদালতের অনুমতি ছাড়া কোথাও চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে আদালত জানিয়েছিলেন । সঙ্গে ছিল বেতন ফেরতের বিষয়টিও ৷ এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীরা ।

এদিন শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবীদের তরফে আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সকলের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে । গ্রুপ ডি কর্মীদেরও আছে । দোষ প্রমাণ হওয়ার আগেই চাকরি চলে গেল ! আমরা শুধু বিচার চাই । আর বিচার সবার জন্য সমান হয় । গ্রুপ ডি এর কাজ খুব ছোট...... স্কুলে ঘণ্টা বাজানো ও খাতাপত্র এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া । তবুও তাঁদের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে ।" মামলাকারীদের তরফে আরও এক আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, "এখন সবাই সবার পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত । সকলে হাত তুলে নিচ্ছে । সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে চাকরি খারিজের আবেদন করাই হয়নি । তবে এই নির্দেশ কী করে সম্ভব ?"

এমনকী এদিন শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ উদ্ধার হওয়া হার্ড ডিস্কের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে শুনানিতে ৷ বলা হয়েছে, সিবিআই তো আইনের ঊর্ধে নয় !" মামলাকারীদের তরফে আর এক আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য, চাকরিহারাদের কথা না শুনেই রায় দেওয়া হয়েছে ৷ কিছু চাকরি প্রার্থীর ওএমআরে গন্ডগোল আছে মানে অধিকাংশের ওএমআর (OMR) ত্রুটিপূর্ণ, এটা হতে পারে না ৷ তাঁর আরও প্রশ্ন, সবটা প্রমাণ হওয়ার আগে কীভাবে চাকরি বাতিল হতে পারে ?

অন্যদিকে বেআইনি চাকরি প্রাপকদের বিরুদ্ধে সওয়ালকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, "যাঁদের চাকরি সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে গিয়েছে, তাঁরা কেউ সিঙ্গেল বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন নিজেদের বক্তব্য জানাতে আসেননি । এখন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ।" কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, "এই মামলা এক সময়ে রোজ শোনা হচ্ছিল সিঙ্গেল বেঞ্চে । আবেদনকারীরা যদি এখন বলেন, কমিশন যুধিষ্ঠির হয়ে গিয়েছে তবে বলতে হয়, না ! কমিশন হঠাৎ করে যুধিষ্ঠির হয়নি । কমিশনের দেড় বছর সময় লেগেছে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে সবটা বুঝে উঠতে । সিবিআই এই ডকুমেন্টস পেয়েছে আমাদেরই নিযুক্ত এজেন্সির থেকে ।" সিবিআই তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "গাজিয়াবাদ থেকে যে হার্ডডিস্ক সিবিআই পেয়েছে, তাতে যা নথি পেয়েছি, তাই আদালতে জমা দিয়েছি । তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালত নিয়েছে ।"

আরও পড়ুন: চাকরি গেল 1 হাজার 911 জন গ্রুপ-ডি কর্মীর, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Last Updated : Feb 16, 2023, 5:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.