ETV Bharat / state

High Court on Hookah Bar: কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কাবার বন্ধ হল কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট - কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও বিধাননগর পুলিশ

কলকাতা এবং বিধাননগর এলাকায় হুক্কাবার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইলেন ৷ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এবিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ।

High Court on Hookah Bar
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jan 19, 2023, 2:05 PM IST

কলকাতা, 19 জানুয়ারি: কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কাবার বন্ধ কেন তা নিয়ে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট ৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও বিধাননগর (Kolkata and Bidhannagar Police Decided to Close Hookah Bars) পুলিশকে রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টে, বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আবেদনকারীদের তরফে এদিন আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, "তামাক আইন কেন্দ্রীয় আইনের মধ্যে পড়ে। হুক্কা হচ্ছে কেন্দ্রীয় আইন। তাই এই আইনের প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশ কখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। কারণ এটা রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয় নয় ।

তারপরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে পুলিশের কি বক্তব্য তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আদালতকে ৷ উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় কলকাতা ও বিধাননগরের সমস্ত হুক্কাবার। পাশপাশি বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত হুক্কাবার বন্ধের জন্য পুলিশ কমিশনারেটকে চিঠি দিয়ে সক্রিয় হওয়ার 'অনুরোধ' জানান।তারপরই পৌরসভা এবং পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হুক্কাবারের কয়েক জন মালিক।

আরও পড়ুন: কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে সমস্ত হুক্কাবার, নির্দেশ ফিরহাদের

অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে মামলা করে অভিযোগ করা হয়, পৌরসভার আইনে কোথাও হুক্কাবার বন্ধের কথা বলা হয়নি। অথচ পুলিশ পৌরসভার অর্ডার দেখিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে হাজার খানেক রেস্তোরাঁয় ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে । পুলিশ কিসের ভিত্তিতে হুক্কাবার বন্ধ করল সেটা তাদের বোধগম্য নয়। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে 'টক টু মেয়র'-এ ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান, হুক্কাবার নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসায় এই সিদ্ধান্ত। তিনি দাবি করেন, বেশ কিছু জায়গায় হুক্কায় নাকি মাদক মেশানো হয়। তাতে ইয়ং জেনারেশনের কথা ভেবে হুক্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা পৌরনিগম।

কলকাতা পৌর অঞ্চলে সমস্ত রেস্তোরাঁ ও বারে হুক্কা পরিবেশন বন্ধ হয়ে যায় । কলকাতার পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটেও একইভাবে হুক্কা বার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়রের মৌখিক ঘোষণার পরই পৌরনিগমের তরফে নির্দেশিকা জারি করে হুক্কাবারগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়। কলকাতা পুলিশ হুক্কাবার বন্ধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে নামে। এমনকী নির্দেশিকা জারির পর অবৈধভাবে হুক্কাবার চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। যুব সমাজকে এই নেশার হাত থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত।

কলকাতা, 19 জানুয়ারি: কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কাবার বন্ধ কেন তা নিয়ে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট ৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও বিধাননগর (Kolkata and Bidhannagar Police Decided to Close Hookah Bars) পুলিশকে রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টে, বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আবেদনকারীদের তরফে এদিন আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, "তামাক আইন কেন্দ্রীয় আইনের মধ্যে পড়ে। হুক্কা হচ্ছে কেন্দ্রীয় আইন। তাই এই আইনের প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশ কখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। কারণ এটা রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয় নয় ।

তারপরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে পুলিশের কি বক্তব্য তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আদালতকে ৷ উল্লেখ্য, ডিসেম্বর মাসে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় কলকাতা ও বিধাননগরের সমস্ত হুক্কাবার। পাশপাশি বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত হুক্কাবার বন্ধের জন্য পুলিশ কমিশনারেটকে চিঠি দিয়ে সক্রিয় হওয়ার 'অনুরোধ' জানান।তারপরই পৌরসভা এবং পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হুক্কাবারের কয়েক জন মালিক।

আরও পড়ুন: কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে সমস্ত হুক্কাবার, নির্দেশ ফিরহাদের

অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে মামলা করে অভিযোগ করা হয়, পৌরসভার আইনে কোথাও হুক্কাবার বন্ধের কথা বলা হয়নি। অথচ পুলিশ পৌরসভার অর্ডার দেখিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে হাজার খানেক রেস্তোরাঁয় ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে । পুলিশ কিসের ভিত্তিতে হুক্কাবার বন্ধ করল সেটা তাদের বোধগম্য নয়। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে 'টক টু মেয়র'-এ ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান, হুক্কাবার নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসায় এই সিদ্ধান্ত। তিনি দাবি করেন, বেশ কিছু জায়গায় হুক্কায় নাকি মাদক মেশানো হয়। তাতে ইয়ং জেনারেশনের কথা ভেবে হুক্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা পৌরনিগম।

কলকাতা পৌর অঞ্চলে সমস্ত রেস্তোরাঁ ও বারে হুক্কা পরিবেশন বন্ধ হয়ে যায় । কলকাতার পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটেও একইভাবে হুক্কা বার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়রের মৌখিক ঘোষণার পরই পৌরনিগমের তরফে নির্দেশিকা জারি করে হুক্কাবারগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়। কলকাতা পুলিশ হুক্কাবার বন্ধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে নামে। এমনকী নির্দেশিকা জারির পর অবৈধভাবে হুক্কাবার চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। যুব সমাজকে এই নেশার হাত থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.