কলকাতা, 3 মে: কালিয়াগঞ্জের চাঁদগা গ্রামে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যর ঘটনায় এখনই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ নয় ৷ তবে গুলি চালানোর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । 12 মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি । আপাতত সিআইডি অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে । এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । পুলিশের গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে । পুলিশকে আক্রমণ করা হলে জীবন বাঁচাতে পুলিশ গুলি চালায় বলে জানায় । তারপর ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডি নিয়েছে । তবে তদন্তে কী উঠে আসে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আদালত ।
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "পুলিশ অফিসার মোয়াজ্জম হোসেন জখম হন । ডিসি বিনোদ মেহেতাকে যেভাবে চক্রব্যুহ করে খুন করা হয়েছিল ৷ এখানে সেইভাবে পুলিশ অফিসারকে ফাঁদে ফেলে মারধর করা হয় । তখন পুলিশ প্রাণ বাঁচাতে গুলি করে । নাবালিকার মৃত্যু ও গোলমালের ঘটনায় পুলিশ মৃতের একজন আত্মীয়কে গ্রেফতার করতে মাঝরাতে যায় । পুলিশ 53 জনকে ধরলেও বলছে 17 জন গ্রেফতার ।"
মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদন জানান আইনজীবী । রাজ্যের তদন্তে কোনও ভরসা নেই পরিবারের বলে তিনি জানান । আদালতে রাজ্যের অবশ্য বক্তব্য, "28 এপ্রিল এসপিকে চিঠি দিয়ে পরিবার জানালো কালিয়াগঞ্জ থানার উপর ভরসা নেই । কিন্তু রাজ্য তদন্ত করুক বলে চিঠি দিল । পরের দিন সিআইডি তদন্তভার নিল । আর দু'দিনের মধ্যে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্যের হাত থেকে তদন্ত সরানোর দাবির মানে কী !" আদিবাসী এক কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগেই উত্তাল হয়েছিল কালিয়াগঞ্জে । এরপর বিষ্ণু বর্মন নামে এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । কিন্তু কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা দেখতে গেছিল মৃত্যুঞ্জয় বর্মন ও তাঁর ভাই । সেই সময় পুলিশ পেছন থেকে তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: মৃত্যুঞ্জয় বর্মন মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি হাইকোর্টে