আপনার কি প্রায়ই জয়েন্টে ব্যথা হয় ? হতে পারে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে । ইউরিক অ্যাসিড একটি বর্জ্য পদার্থ যা আমাদের শরীরে তৈরি হয় । আমাদের কিডনি সাধারণত শরীর থেকে এই বর্জ্য বের করে দেয় ৷ কিন্তু যখন কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না, তখন আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করে । এটি আমাদের জয়েন্টে ক্রিস্টালের মতো জমা হয়, যা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের কারণ হতে পারে । পুষ্টিবিদ বলেন, "আপনার খাবারে কিছু বিশেষ পরিবর্তন করে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারেন ।"
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করবে লাল ফল:
স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে । স্ট্রবেরিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে ।
লাল ক্যাপসিকাম: লাল ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, বি6, ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস । এগুলিতে লাইকোপিনও রয়েছে যা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । ফলে এটি ইউরিক অ্যাসিডের জন্য উপকারী ৷
গোজি বেরি: গোজি বেরি হল এক ধরনের ফল, যাতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, তাই একে সুপারফুড বললে ভুল হবে না । ফলে এটি ইউরিক অ্যাসিডের জন্য ভীষণভাবে উপকারী ৷
চেরি: চেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে ৷ যা ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত চেরি জুস পান করলে গাউট আক্রমণের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা হ্রাস পায় ।
রাস্পবেরি: রাস্পবেরি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । রাস্পবেরিতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে ।
ডালিম: ডালিম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ৷ যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । ডালিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে ।
ক্র্যানবেরি: ক্র্যানবেরিতে এমন যৌগ রয়েছে যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। ক্র্যানবেরি জুস নিয়মিত পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায় এবং গাউটের আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)