ETV Bharat / bharat

মহিলা, যমজ শিশুকে খুন করে পলাতক ! 18 বছর পর গ্রেফতার 2 প্রাক্তন সেনা - EX ARMY MEN ARRESTED AFTER 18 YEARS

একটি বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, খুনের পর নিজেদের নাম ও পরিচয় বদলে ফেলেন দুই অভিযুক্ত ৷ বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সাধারণ জীবনযাপন করছিলেন তাঁরা ৷

EX ARMY MEN ARRESTED AFTER 18 YEARS
খুন করার 18 বছর পর গ্রেফতার 2 সেনা জওয়ান (প্রতীকী ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 5, 2025, 11:29 AM IST

কোচি, 5 জানুয়ারি: পরীক্ষায় পিতৃত্ব প্রমাণ হয়ে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন ৷ সেই আশঙ্কা থেকেই, সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ভয়ে প্রমিকা ও তাঁর 17 দিনের দুই যমজ শিশুকে খুন করে এক সেনা জওয়ান ৷ এই খুনে সাহায্য করেছিল তারই এক সহকর্মী ৷ এর পর থেকেই এই দুই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন ৷ অবশেষে 18 বছর পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান ও তাঁর সহকর্মী ৷

হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে 2006 সালের 10 ফেব্রুয়ারি ৷ কেরলের কোল্লাম জেলার আঁচল এলাকার ভাড়া বাড়িতে দুই 17 দিনের দুই যমজ শিশুকন্যা-সহ 24 বছর বয়সি রজনীর (অভিযুক্ত সেনা জওয়ানের প্রমিকা ও দুই যমজ শিশুকন্যার মা) দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশি তদন্তে জানা যায়, দিবিল কুমার বি নামের এক সেনা জওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রজনীর ৷ যমজ দুই সন্তানের জন্ম হওয়ার পরই দু'জনের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয় ৷

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, রজনী ও তাঁর কন্যাসন্তানের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে 3 জনকে খুন করেন দিবিল ৷ তাঁকে সঙ্গে দেন আর এক সেনা জওয়ান (দিবিলের সহকর্মী) রাজেশ পি ৷ তাঁরা দু'জনে একই ব্যাটেলিয়নে জওয়ান ছিলেন ৷ এরপর তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দিবিল আঁচলের বাসিন্দা এবং রাজেশ কান্নুরের বাসিন্দা ৷ দীর্ঘ তল্লাশির পরেও এই দুই অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ ৷

নির্যাতিতার পরিবারের আবেদনের পর 2008 সালে ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পারেন, আর সেনায় নেই এই অভিযুক্তরা ৷ কিন্তু, কোথায় গিয়েছেন ? কী করছেন ? তার হদিস পেতে তদন্ত চালিয়ে যান সিবিআই-এর গোয়েন্দারা ৷ অবশেষে, ঘটনার 18 বছর পর শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুদুচেরি পুলিশ ৷ শনিবার তাদের কোচি আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷

ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে সিবিআই-এর আধিকারিক জানিয়েছেন, খুন করার পর নিজেদের পরিচয় বদলে ফেলে দুই অভিযুক্ত ৷ দিবিলের নাম হয় বিষ্ণু ও রাজেশ পরিচয় বদলে হয়ে যান প্রবীণ কুমার ৷ দু'জনেই পরে বিয়ে করেন ৷ সন্তানও রয়েছে ৷ আর পাঁচজনের মতো সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন তাঁরা ৷ সেই কারণে, তাদের দেখে কখনও কারও সন্দেহ হয়নি ৷ এমনকী, পুদুচেরিতে জমি কিনে বাড়িও বানিয়ে ফেলেছেন রাজেশ ওরফে প্রবীণ ৷ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, দীর্ঘদিন তাঁদের উপর নজর রাখা হয়েছিল ৷ অবশেষে শুক্রবার তাঁদের পুদুচেরি থেকে গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে ৷

পড়ুন: মদ্যপ স্বামীকে খুন, দেহ 2 টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা স্ত্রী'র

কোচি, 5 জানুয়ারি: পরীক্ষায় পিতৃত্ব প্রমাণ হয়ে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন ৷ সেই আশঙ্কা থেকেই, সন্তানের দায়িত্ব নেওয়ার ভয়ে প্রমিকা ও তাঁর 17 দিনের দুই যমজ শিশুকে খুন করে এক সেনা জওয়ান ৷ এই খুনে সাহায্য করেছিল তারই এক সহকর্মী ৷ এর পর থেকেই এই দুই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন ৷ অবশেষে 18 বছর পর পুলিশের জালে ধরা পড়লেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান ও তাঁর সহকর্মী ৷

হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে 2006 সালের 10 ফেব্রুয়ারি ৷ কেরলের কোল্লাম জেলার আঁচল এলাকার ভাড়া বাড়িতে দুই 17 দিনের দুই যমজ শিশুকন্যা-সহ 24 বছর বয়সি রজনীর (অভিযুক্ত সেনা জওয়ানের প্রমিকা ও দুই যমজ শিশুকন্যার মা) দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশি তদন্তে জানা যায়, দিবিল কুমার বি নামের এক সেনা জওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রজনীর ৷ যমজ দুই সন্তানের জন্ম হওয়ার পরই দু'জনের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয় ৷

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, রজনী ও তাঁর কন্যাসন্তানের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে 3 জনকে খুন করেন দিবিল ৷ তাঁকে সঙ্গে দেন আর এক সেনা জওয়ান (দিবিলের সহকর্মী) রাজেশ পি ৷ তাঁরা দু'জনে একই ব্যাটেলিয়নে জওয়ান ছিলেন ৷ এরপর তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দিবিল আঁচলের বাসিন্দা এবং রাজেশ কান্নুরের বাসিন্দা ৷ দীর্ঘ তল্লাশির পরেও এই দুই অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ ৷

নির্যাতিতার পরিবারের আবেদনের পর 2008 সালে ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পারেন, আর সেনায় নেই এই অভিযুক্তরা ৷ কিন্তু, কোথায় গিয়েছেন ? কী করছেন ? তার হদিস পেতে তদন্ত চালিয়ে যান সিবিআই-এর গোয়েন্দারা ৷ অবশেষে, ঘটনার 18 বছর পর শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুদুচেরি পুলিশ ৷ শনিবার তাদের কোচি আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷

ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে সিবিআই-এর আধিকারিক জানিয়েছেন, খুন করার পর নিজেদের পরিচয় বদলে ফেলে দুই অভিযুক্ত ৷ দিবিলের নাম হয় বিষ্ণু ও রাজেশ পরিচয় বদলে হয়ে যান প্রবীণ কুমার ৷ দু'জনেই পরে বিয়ে করেন ৷ সন্তানও রয়েছে ৷ আর পাঁচজনের মতো সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন তাঁরা ৷ সেই কারণে, তাদের দেখে কখনও কারও সন্দেহ হয়নি ৷ এমনকী, পুদুচেরিতে জমি কিনে বাড়িও বানিয়ে ফেলেছেন রাজেশ ওরফে প্রবীণ ৷ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, দীর্ঘদিন তাঁদের উপর নজর রাখা হয়েছিল ৷ অবশেষে শুক্রবার তাঁদের পুদুচেরি থেকে গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে ৷

পড়ুন: মদ্যপ স্বামীকে খুন, দেহ 2 টুকরো করে লোপাটের চেষ্টা স্ত্রী'র
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.