কলকাতা, 2 মার্চ: স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটেটিভ ট্রাইব্যুনালে (State Administrative Tribunal) অবিলম্বে বিচারপতি নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Cal HC on Judge Appointment)। বিচারপতি হরীশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন । যতদিন না বিচারক নিয়োগ করা হচ্ছে, ততদিন একক বিচারপতির বেঞ্চই সমস্ত মামলা শুনে দ্রুত তা নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)৷
ওয়েস্ট বেঙ্গল কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য 2018 সালে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় । সেখানে শূন্যপদ ছিল 5702 টি । যেখানে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এনভিএফ(হোম গার্ড)-এর জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ ছিল । কিন্ত এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতিকে মান্যতা না দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হয় ।
2019 সালে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ডরা নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (SAT) মামলা দায়ের করেন । স্যাটে মামলা চলাকালীন বার বার পক্ষে বিপক্ষে হলফনামার নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুনানিতে বিলম্ব হয়ে যায় । এরই মধ্যে 2022 সালের জুলাই মাসে স্যাটের চেয়ারম্যান কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সৌমিত্র পাল অবসর গ্রহণ করেন । স্যাটের চেয়ারম্যান অবসর গ্রহণ করার পর থেকে আজও চেয়ারম্যান পদে কোনও নিয়োগ হয়নি । যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে ।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি, প্রার্থীমৃত্যুর তদন্ত করবে সিবিআই
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধা সংক্রান্ত মামলার শুনানি করা হয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে । কিন্তু স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে কোনও ডিভিশন বেঞ্চ না থাকায় সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না । যে কারণে জাহাঙ্গির আলি-সহ বেশ কয়েকজন মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে এই মামলায় তলব করা হয়েছিল । এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা জানতে চেয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ । কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি ।
পরে বিচারপতি হরীশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের থেকে জানতে চায় যে, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগের সুপারিশ আদৌ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে কি না । কিন্তু রেজিস্ট্রার জেনারেল জানান, তাঁর কাছে এখনও পর্যন্ত এই নিয়োগের ব্যাপারে কোনও নির্দেশ নেই । তারপরই ডিভিশন বেঞ্চ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে অবিলম্বে ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন ।