কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: একটিও জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের ওপর বর্তাবে । তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । মঙ্গলবার রাজ্যকে এই মর্মে হুঁশিয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি শিবজ্ঞানম । পশ্চিম বর্ধমানের অন্তর্গত আসানসোল সদরে সাম্প্রতিককালে মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধে 17টি জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পশ্চিমবঙ্গ বাউরি উন্নয়ন সমাজ । সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ৷
এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টি শিবজ্ঞানম বলেন, "জেলাশাসকের নির্দেশের পরে মহকুমাশাসক দু'টি জাতিগত শংসাপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন । বাকিগুলো কেন করলেন না বোঝা যাচ্ছে না । রাজ্যকে আরও তৎপর হওয়া উচিত ৷ কারণ এই মামলা হিমশৈলের চূড়ামাত্র । একটা ভুল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলেও তার প্রভাব গোটা সমাজব্যবস্থার উপর পড়ে । যারা বিভিন্ন চাকরির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন তাদের উপরও এর প্রভাব পড়ে । জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার মাধ্যমে আরও একাধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় । যেটা রাজ্যকে দিতে হয় । তাই এই শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন । গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে একটি পচা আপেল থাকলেও রাজ্য তদন্ত করতে বাধ্য ।"
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কোথাও কোনওরকম জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না, তার উপর কড়া নজর রাখবেন জেলাশাসকরা । যদি এমন কোনও অভিযোগ আসে তবে তার উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে । জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন-সহ সার্কুলার জারি করবেন অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়ন দফতরের সচিব ।
উল্লেখ্য, জাতিগত শংসাপত্র জাল করা হচ্ছে দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বাউরি উন্নয়ন সমাজ ৷ সেই মামলাতেই প্রধান বিচারপতি এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন :