কলকাতা, 4 জানুয়ারি: নেতাই গণহত্যার ঘটনায় শহিদদের উদ্দেশে মাল্যদান করতে চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁকে আটকাতে নিজেদের অবস্থানে অনড় রাজ্য সরকারও। সামান্য সময়ের জন্য হলেও বিরোধী দলনেতাকে যাতে স্মরণ সভায় যেতে অনুমতি দেয় রাজ্য, আদালত মৌখিকভাবে তা জানিয়েছে। কিন্তু রাজ্য তাদের অবস্থান এদিনও স্পষ্ট করেনি।
রাজ্যের পালটা বক্তব্য ওই সময়ে আগে থেকেই অন্য রাজনৈতিক দল সেখানে তাদের কর্মসূচি পালন করবে। ফলে একই সময়ে দুটি রাজনৈতিক দলকে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে আগামিকাল শুক্রবার বেলা একটার মধ্যে রাজ্যের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যকে জানাতে হবে তারা আদৌ শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে অনুমতি দেবে কি না। রাজ্যের বক্তব্য জানার পরই শুক্রবার আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবে বলেও জানিয়েছে বেঞ্চ।
7 জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের নেতাই গণহত্যায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ দেওয়া ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য সরকার। অন্যদিকে হাইকোর্টের মৌখিক স্পষ্ট বক্তব্য অনুমতি দিতে হবে ৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন বলেন, "প্রত্যেকের স্মরণ সভায় যোগ দেওয়ার অধিকার আছে। রাজ্য নিজে বিরোধী দলনেতাকে এক ঘণ্টার জন্য সেখানে যেতে দিক, সেটাই বলব। না হলে, জটিলতা বাড়বে।"
অন্যদিকে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, "6 ও 7 জানুয়ারি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অন্য একটি রাজনৈতিক দল ওই জায়গায় অনুষ্ঠান করবে বলে আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছে। একইসঙ্গে কীভাবে দু'টি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে ? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে সামলাবে কে ?"
পালটা বিচারপতির বক্তব্য, "দু'দিনে অন্তত এক ঘন্টা সময় দিন অন্যদের। অযথা জটিলতার সৃষ্টি করবেন না। কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবে না। শুধু মালা দেওয়ার জন্য বিরোধী দলনেতাকে যেতে দেওয়া উচিত।" কিন্তু রাজ্য নিজের অবস্থান পরিস্কার না করায় শুক্রবার রাজ্যকে নিজের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
আরও পড়ুন