কলকাতা, 20 ডিসেম্বর: সামনেই বড়দিন ৷ লাল জোব্বা পরা সান্তা, ক্রিসমাস ট্রি আর আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠছে মহানগরী ৷ এই মরশুমে শহরের অন্যতম ঐতিহ্য শতাব্দীপ্রাচীন বো ব্যারাকেও শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মেজাজ ৷ স্থানীয়দের হাতে তৈরি রকমারি খাবারের স্টল, রং-বেরঙের আলোর পসরায় সেজে উঠেছে কলকাতার অ্যাংলোপাড়া ৷ বৃহস্পতিবার এখানে এ বছরের উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ৷
হেয়ার স্ট্রিট থানার বিপরীতে ও বউবাজার থানার পাশেই বিরাট বিরাট লালবাড়ি । এটাই শহরের ঐতিহ্যবাহী বো ব্যারাক । যেটি আদতে ছিল সেনা আবাস ৷ তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সেনারা এখান থেকে চলে যান ৷ আর এখানকার বাড়িগুলির চাবি তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের হাতে ৷ তার পর থেকেই বছরের পর বছর এখানে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের বাস । বছরের অন্যান্য সময় সাদামাটা ভাবে দেখা গেলেও, প্রতি বছর বড়দিনের মরশুমে সেজে ওঠে বো ব্যারাক ৷ কারণ এখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশই খ্রিস্টান ৷ তাই এই সময়টায় তাঁরা ঐতিহ্যতকে সঙ্গী করেই তাঁদের সবচেয়ে বড় উৎসবে মেতে ওঠেন ৷
21 ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্ক ও বো ব্যারাকে উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার আগে এখন বো ব্যারাকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ৷ চারপাশ সাজানো হয়ে গিয়েছে আলোর মালায় ৷ আলোর আখরে লেখা হয়েছে মেরি ক্রিসমাস ও হ্যাপি নিউ ইয়ার ৷ রীতি মেনে রাস্তার ধারে স্টল খুলেছেন আবাসিক অ্যাংলো ইন্ডিয়ানরা ৷ বড়দিনে মুখরোচক নানা খাবার তাঁরা নিজে হাতে বানিয়ে বিক্রি করেন ৷ তৈরি করেন রকমারি স্বাদের কেক, টার্কি, ওয়াইন ৷ সে সব আয়োজনেরই চলছে ফিনিশিং টাচ ৷
শুধু তাই নয়, বড়দিনের উৎসবের মরশুম জুড়ে এখানে চলে গান ও নাচের পারফরম্যান্স ৷ গিটার ও ড্রামসের তালে সুর তোলে যুব প্রজন্ম ৷ তার মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ৷ আলোর রোশনাইয়ের জোর খতিয়ে দেখতে হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ৷ এ বার শুধু অপেক্ষা মাহেন্দ্রক্ষণের ৷ উদ্বোধনের দিন থেকেই ক্রিসমাস কার্নিভালে সবাইকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি মধ্য কলকাতার বো ব্যারাক ৷
আরও পড়ুন: