কলকাতা, 11 মে: বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের পরিচালিত ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি' ৷ দেশজুড়ে মুক্তির পর থেকেই শিরোনামে এই ছবি ৷ ছবিটির সাড়া জাগানোর অভিঘাত এতটাই যে, তামিলনাড়ুর পর বাংলাতে এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে পথে নামে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা।
বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ'য়ের নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ মিছিল ডাকা হয়েছিল। দেশপ্রিয় পার্কে প্রিয়া সিনেমা হলের সামনে এই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। যুব মোর্চার সভাপতি ডক্টর ইন্দ্রনীল খাঁ জানান, যে এই নিষেধাজ্ঞা আসলে সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা এবং ভারতের সংবিধানের উপর হস্তক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবিটিকে ব্যান করে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছেন। সেন্সর বোর্ড থেকে এই ছবিটি পাস করেছে এবং দর্শকরা ছবিটি নিয়ে প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেন, "এই সিনেমায় যদি কেউ ভিলেন থেকে থাকে, খলনায়ক থেকে থাকে তাহলে তা হল আইএসআইএস জঙ্গিরা। উগ্রপন্থী-উগ্রপন্থা, সন্ত্রাসবাদ-সন্ত্রাসবাদীরা এই ছবির খলনায়ক। মুখ্যমন্ত্রী কেন এই ছবিটির উপরে নিষেধাজ্ঞা এনেছেন? তিনি যদি মনে করে থাকেন যে এখানে সাম্প্রদায়িক এবং দূষণের রাজনীতি করবেন তাহলে সেটা হবে না।"
আরও পড়ুন : 'সংখ্যায় কী আসে যায়?' বিতর্কের জবাবে জানালেন 'দ্য কেরালা স্টোরি'র প্রযোজক
সম্প্রতি রাজ্যের শিশু ও মহিলা কল্যাণ মন্ত্রী ডক্টর শশী পাঁজা জানিয়েছিলেন, পরিচালক নিজের দায়িত্বে এই ছবিটি বানিয়েছেন ৷ কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব তার থেকেও বেশি ৷ তাঁকে একটা রাষ্ট্র চালাতে হয়। তাই এই গুরুভার থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটি নিষিদ্ধ করেছেন রাজ্যে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি জানান, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তিনি যদি একটা সিনেমার জন্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে না-পারেন, তাহলে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবি রাজ্যে না দেখাতে দিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন, মুসলিমরা আতঙ্কবাদী। অথচ এই ছবিতে আতঙ্কবাদীদের কোনও জায়গাই নেই। রয়েছে মেয়েদের উপরে ঘটে চলা একের পর এক অপরাধ।