ETV Bharat / state

Rantidev Sengupta on Bank Privatisation : ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা রন্তিদেব

author img

By

Published : Dec 18, 2021, 1:54 PM IST

Updated : Dec 18, 2021, 3:08 PM IST

বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগঠনগুলি ৷ যার জেরে গত কয়েকদিনে নাজেহাল সাধারণ মানুষ ৷ এই পরিস্থিতি নিয়ে এ বার কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্ত (BJP Leader Rantidev Sengupta Criticise Narendra Modi) ৷ ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের মাধ্য়মে কেন্দ্র আম্বানি, আদানিদের সুবিধা করে, সাধারণ মানুষকে পথে বসানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র (Rantidev Sengupta on Bank Privatisation) ৷ আজ ফেসবুক পোস্টে এমনই অভিযোগ করেন এই বিজেপি নেতা ৷

Rantidev Sengupta on Bank Privatisation
Rantidev Sengupta on Bank Privatisation

কলকাতা, 18 ডিসেম্বর : বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে গত দু’দিন ধরে সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ধর্মঘট ৷ পরিষেবা না পেয়ে নাজেহাল সাধরাণ মানুষ ৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বির্তক ৷ সরকারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader Rantidev Sengupta Criticise Narendra Modi) ৷ যে পোস্টকে ঘিরে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি ৷ ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে বেসরকারিকরণের বিষয় নিয়ে রন্তিদেব সেনগুপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেছেন ওই পোস্টে ৷ শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, রন্তিদেব দেশের অন্যতম বড় শিল্প গোষ্ঠী আম্বানি ও আদানির নামও উল্লেখ করেছেন নাম করেছে ওই পোস্টে ৷ যেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভোটের সময় আদানি-আম্বানি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয় ৷ আর আমরাও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিই ৷’’

রন্তিদেব সেনগুপ্ত ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘সারাজীবন চাকরি করে যেটুকু টাকা সঞ্চয় করেছি তা ব্যাঙ্কে জমা রেখেছি ৷ এ কথাটা শুুধু আমার কথা নয় ৷ আমরা যারা পাঁচ পাবলিক, এটা আমাদের সবার কথা ৷ সারাজীবনের এই সঞ্চয়টুকুর ওপর নির্ভর করে আমরা কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছি মেয়েটার একটা ভদ্রস্থ বিয়ে দেওয়ার ৷ কেউ বা ভাবছি ছেলেটার উচ্চশিক্ষা এই টাকাতেই হয়ে যাবে ৷ আদানি, আম্বানি, টাটা বা গোয়েঙ্কাদের ভারতের থেকে আমাদের এই পাঁচ পাবলিকের ভারত অন্যরকম ৷ আমাদের ভারতে মাসের শেষে ভাবতে হয় সংসারের খরচ কাটছাঁট করে কীভাবে নিত্যদিনের চাহিদা মেটাব ৷ আমাদের এই পাঁচ পাবলিকের ভারতে ছোট ছোট সুখ দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকি আমরা ৷ তবুও, আদানি, আম্বানি, টাটা, গোয়েঙ্কাদের সঙ্গে একটি বিষয়ে মিল আছে আমাদের ৷ এই মহান গণতান্ত্রিক ভারত রাষ্ট্রে আদানি, আম্বানি, টাটা, গোয়েঙ্কাদের মতো আমাদেরও প্রত্যেকের একটি করে ভোটাধিকার ৷ পাঁচবছর পর পর ওনারা যেমন ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন, তেমনি আমরাও দিই ৷ তবে, আমাদের একটাই তৃপ্তি ৷ পাঁচবছর পর পর নেতারা এসে আমাদের দুয়ারে হাত জোড় করে দাঁড়ান ৷ স্বপ্ন ফেরি করে যান আমাদের দুয়ারে ৷ আর আমরা পাঁচ পাবলিক অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, বছরের পর বছর ব্যাঙ্কের সুদ কমতে কমতে পাঁচ পার্সেন্টে এসে পৌঁছয় ৷ আমরা যারা এই সুদ টুকুর ওপর নির্ভর করে অবসর জীবন কাটাই, আমাদের জীবনটা আরও বেশি অনিশ্চয়তায় ভরে ওঠে ৷’’

মূলত, ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ ও সুদের হার কমা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত (Rantidev Sengupta on Bank Privatisation) ৷ তবে, এখানেই থামেননি রন্তিদেব ৷ আমজনতার হয়ে সরব রন্তিদেবের কথায়, ‘‘আমরা কেউ কষ্ট করে ব্যাঙ্কে দশলাখ টাকা জমিয়েছি, কেউ পনেরো, কেউ পঁচিশ, কেউ বা তিরিশ লাখ টাকা জমিয়েছি ৷ এই সঞ্চিত অর্থটুকুর ওপর ভরসা করে আমরা আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করি ৷ আদানি আম্বানি, টাটা, গোয়েঙ্কারা যে ভারত বাস করেন ৷ সে ভারতকে আমরা শুধু স্বপ্নে দেখি ৷ এখন ভাবুন তো, আমরা এই পাঁচ পাবলিক ব্যাঙ্কে যে টাকাটুকু জমিয়েছি সেটা যদি চোট হয়ে যায় তাহলে কী হবে ? আমাদের ছোট ছোট সুখ দুঃখ দিয়ে গড়া ওই ভারতটাও কি নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে না ?’’ প্রশ্ন রন্তিদেবের ৷ তবে, এ প্রশ্ন কাকে করছেন তিনি ? কেন্দ্রীয় সরকারকে ? যে সরকার তাঁরই দলের ৷ বকলমে যে দল চলে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় ৷ অর্থাৎ, সরাসরি মোদি-শাহ’কেই নিশানা তাঁর (Rantidev Sengupta Criticise Center Over Bank Privatisation) ৷

আরও পড়ুন : বেসরকারি করণের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের

এর পরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত ৷ তিনি বলেন, ‘‘আর তখন যদি কেউ বলে তোমাদের পাঁচ লাখ টাকা ধরিয়ে দেওয়ার মহত্ব সরকার বাহাদুর দেখাচ্ছে, তখন তাকে কি এক নির্মম ঠাট্টা বলে মনে হবে না ? দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ব্যাঙ্ক ফেল করলে প্রত্যেক আমানতকারীকে পাঁচলাখ টাকা করে দেবেন সরকার বাহাদুর ৷ এতে অনেকে ধন্য ধন্য করছেন ৷ বলছেন সরকার বাহাদুরের দয়ার শরীর ৷ আমরা কিন্তু তা মনে করছি না ৷ সরকার বাহাদুরকে বাহবা দিতেও পারছি না ৷ সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ লাখ টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়াকে একটি নির্মম কৌতুকের বিষয় বলেই মনে করছি আমরা ৷’’

BJP Leader Rantidev Sengupta Criticise Center Over Bank Privatisation
রন্তিদেবের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট

আরও পড়ুন : বাজেটের আগে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে বিপাকে মালদাবাসী

ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ নিয়ে রন্তিদেব আরও একটি সম্ভাবনার বিষয়ও ওই পোস্টে তুলে ধরেছেন (BJP Leader Rantidev Sengupta Criticises Center) ৷ প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার যখন ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণ করছে, তাহলে আবার ব্যাঙ্কের দেউলিয়া হওয়ার ভয় পাচ্ছে কেন ? এ নিয়ে রন্তিদেব লেখেন, ‘‘কিন্তু, দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যাঙ্ক ফেল করার আগাম গাওনা গাইছেন কেন ? আসলে সরকার বাহাদুর গা থেকে সব দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন । সব বেচে দেওয়ার এক ভয়াবহ খেলায় নেমেছেন তাঁরা ৷ সে খেলায় আদানি আম্বানিদের ভারত ধনে মানে আরও সম্পদশালী হয়ে উঠবে হয়ত, কিন্তু আমরা এসে পৌঁছব সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে ৷ কল্যাণকামী রাষ্ট্র থেকে এই রাষ্ট্রটিকে তাঁরা ক্রমশ একটি ব্যবসায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে ৷ যে কারণেই অবাধ বেসরকারিকরণের পথে হাঁটা লাগিয়েছে সরকার বাহাদুর ৷ এ পথে পা বাড়িয়ে সরকার বাহাদুর এখন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ৷’’

এ দিনের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ইটিভি ভারতকে রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘যে ফেসবুক পোস্ট করেছি ৷ সেটা আমার কথা নয় ৷ এটা সাধারণ মানুষের কথা ৷ সত্যি ব্যাঙ্কগুলি যদি বেসরকারি হাতে চলে যায় ৷ তা হলে সাধারণ মানুষের সারাজীবনের অর্থ উপার্জন অনিশ্চিয়তা মধ্যে চলে যাবে ৷ ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের নজির দেশের মানুষ দেখেছে ৷ কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য 25 লক্ষ টাকা জমালো ৷ কিন্তু, ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে মাত্র 5 লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ৷ এটা কী শান্তনা পুরস্কার ? সরকারকে সব সময় মানুষের কথা ভাবতে হবে ৷ দেশের সমস্ত সম্পদ ও বড় সংস্থাগুলি যদি কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে চায় ৷ তা হলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে ? পুরভোটের দিকে তাকিয়ে এই পোস্ট আমি করিনি ৷ আমি মনে করেছি, এই বিষয়টি সর্বত্র সমালোচনা করা দরকার ৷ সাধারণ মানুষ কিন্তু ক্ষুব্ধ ৷ সরকার যদি সাধারণ মানুষের কথা না শোনে ৷ এই সরকারকে কিন্ত আগামী দিনে বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে ৷’’ সাবধানবাণী বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তের গলায় ৷

কলকাতা, 18 ডিসেম্বর : বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে গত দু’দিন ধরে সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ধর্মঘট ৷ পরিষেবা না পেয়ে নাজেহাল সাধরাণ মানুষ ৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বির্তক ৷ সরকারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader Rantidev Sengupta Criticise Narendra Modi) ৷ যে পোস্টকে ঘিরে অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি ৷ ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে বেসরকারিকরণের বিষয় নিয়ে রন্তিদেব সেনগুপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেছেন ওই পোস্টে ৷ শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, রন্তিদেব দেশের অন্যতম বড় শিল্প গোষ্ঠী আম্বানি ও আদানির নামও উল্লেখ করেছেন নাম করেছে ওই পোস্টে ৷ যেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভোটের সময় আদানি-আম্বানি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয় ৷ আর আমরাও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিই ৷’’

রন্তিদেব সেনগুপ্ত ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘সারাজীবন চাকরি করে যেটুকু টাকা সঞ্চয় করেছি তা ব্যাঙ্কে জমা রেখেছি ৷ এ কথাটা শুুধু আমার কথা নয় ৷ আমরা যারা পাঁচ পাবলিক, এটা আমাদের সবার কথা ৷ সারাজীবনের এই সঞ্চয়টুকুর ওপর নির্ভর করে আমরা কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছি মেয়েটার একটা ভদ্রস্থ বিয়ে দেওয়ার ৷ কেউ বা ভাবছি ছেলেটার উচ্চশিক্ষা এই টাকাতেই হয়ে যাবে ৷ আদানি, আম্বানি, টাটা বা গোয়েঙ্কাদের ভারতের থেকে আমাদের এই পাঁচ পাবলিকের ভারত অন্যরকম ৷ আমাদের ভারতে মাসের শেষে ভাবতে হয় সংসারের খরচ কাটছাঁট করে কীভাবে নিত্যদিনের চাহিদা মেটাব ৷ আমাদের এই পাঁচ পাবলিকের ভারতে ছোট ছোট সুখ দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকি আমরা ৷ তবুও, আদানি, আম্বানি, টাটা, গোয়েঙ্কাদের সঙ্গে একটি বিষয়ে মিল আছে আমাদের ৷ এই মহান গণতান্ত্রিক ভারত রাষ্ট্রে আদানি, আম্বানি, টাটা, গোয়েঙ্কাদের মতো আমাদেরও প্রত্যেকের একটি করে ভোটাধিকার ৷ পাঁচবছর পর পর ওনারা যেমন ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন, তেমনি আমরাও দিই ৷ তবে, আমাদের একটাই তৃপ্তি ৷ পাঁচবছর পর পর নেতারা এসে আমাদের দুয়ারে হাত জোড় করে দাঁড়ান ৷ স্বপ্ন ফেরি করে যান আমাদের দুয়ারে ৷ আর আমরা পাঁচ পাবলিক অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, বছরের পর বছর ব্যাঙ্কের সুদ কমতে কমতে পাঁচ পার্সেন্টে এসে পৌঁছয় ৷ আমরা যারা এই সুদ টুকুর ওপর নির্ভর করে অবসর জীবন কাটাই, আমাদের জীবনটা আরও বেশি অনিশ্চয়তায় ভরে ওঠে ৷’’

মূলত, ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ ও সুদের হার কমা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত (Rantidev Sengupta on Bank Privatisation) ৷ তবে, এখানেই থামেননি রন্তিদেব ৷ আমজনতার হয়ে সরব রন্তিদেবের কথায়, ‘‘আমরা কেউ কষ্ট করে ব্যাঙ্কে দশলাখ টাকা জমিয়েছি, কেউ পনেরো, কেউ পঁচিশ, কেউ বা তিরিশ লাখ টাকা জমিয়েছি ৷ এই সঞ্চিত অর্থটুকুর ওপর ভরসা করে আমরা আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করি ৷ আদানি আম্বানি, টাটা, গোয়েঙ্কারা যে ভারত বাস করেন ৷ সে ভারতকে আমরা শুধু স্বপ্নে দেখি ৷ এখন ভাবুন তো, আমরা এই পাঁচ পাবলিক ব্যাঙ্কে যে টাকাটুকু জমিয়েছি সেটা যদি চোট হয়ে যায় তাহলে কী হবে ? আমাদের ছোট ছোট সুখ দুঃখ দিয়ে গড়া ওই ভারতটাও কি নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে না ?’’ প্রশ্ন রন্তিদেবের ৷ তবে, এ প্রশ্ন কাকে করছেন তিনি ? কেন্দ্রীয় সরকারকে ? যে সরকার তাঁরই দলের ৷ বকলমে যে দল চলে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় ৷ অর্থাৎ, সরাসরি মোদি-শাহ’কেই নিশানা তাঁর (Rantidev Sengupta Criticise Center Over Bank Privatisation) ৷

আরও পড়ুন : বেসরকারি করণের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের

এর পরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত ৷ তিনি বলেন, ‘‘আর তখন যদি কেউ বলে তোমাদের পাঁচ লাখ টাকা ধরিয়ে দেওয়ার মহত্ব সরকার বাহাদুর দেখাচ্ছে, তখন তাকে কি এক নির্মম ঠাট্টা বলে মনে হবে না ? দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ব্যাঙ্ক ফেল করলে প্রত্যেক আমানতকারীকে পাঁচলাখ টাকা করে দেবেন সরকার বাহাদুর ৷ এতে অনেকে ধন্য ধন্য করছেন ৷ বলছেন সরকার বাহাদুরের দয়ার শরীর ৷ আমরা কিন্তু তা মনে করছি না ৷ সরকার বাহাদুরকে বাহবা দিতেও পারছি না ৷ সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ লাখ টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়াকে একটি নির্মম কৌতুকের বিষয় বলেই মনে করছি আমরা ৷’’

BJP Leader Rantidev Sengupta Criticise Center Over Bank Privatisation
রন্তিদেবের বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট

আরও পড়ুন : বাজেটের আগে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে বিপাকে মালদাবাসী

ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ নিয়ে রন্তিদেব আরও একটি সম্ভাবনার বিষয়ও ওই পোস্টে তুলে ধরেছেন (BJP Leader Rantidev Sengupta Criticises Center) ৷ প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার যখন ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণ করছে, তাহলে আবার ব্যাঙ্কের দেউলিয়া হওয়ার ভয় পাচ্ছে কেন ? এ নিয়ে রন্তিদেব লেখেন, ‘‘কিন্তু, দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যাঙ্ক ফেল করার আগাম গাওনা গাইছেন কেন ? আসলে সরকার বাহাদুর গা থেকে সব দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন । সব বেচে দেওয়ার এক ভয়াবহ খেলায় নেমেছেন তাঁরা ৷ সে খেলায় আদানি আম্বানিদের ভারত ধনে মানে আরও সম্পদশালী হয়ে উঠবে হয়ত, কিন্তু আমরা এসে পৌঁছব সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে ৷ কল্যাণকামী রাষ্ট্র থেকে এই রাষ্ট্রটিকে তাঁরা ক্রমশ একটি ব্যবসায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে ৷ যে কারণেই অবাধ বেসরকারিকরণের পথে হাঁটা লাগিয়েছে সরকার বাহাদুর ৷ এ পথে পা বাড়িয়ে সরকার বাহাদুর এখন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ৷’’

এ দিনের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ইটিভি ভারতকে রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘যে ফেসবুক পোস্ট করেছি ৷ সেটা আমার কথা নয় ৷ এটা সাধারণ মানুষের কথা ৷ সত্যি ব্যাঙ্কগুলি যদি বেসরকারি হাতে চলে যায় ৷ তা হলে সাধারণ মানুষের সারাজীবনের অর্থ উপার্জন অনিশ্চিয়তা মধ্যে চলে যাবে ৷ ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের নজির দেশের মানুষ দেখেছে ৷ কেউ মেয়ের বিয়ের জন্য 25 লক্ষ টাকা জমালো ৷ কিন্তু, ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে মাত্র 5 লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ৷ এটা কী শান্তনা পুরস্কার ? সরকারকে সব সময় মানুষের কথা ভাবতে হবে ৷ দেশের সমস্ত সম্পদ ও বড় সংস্থাগুলি যদি কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে চায় ৷ তা হলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে ? পুরভোটের দিকে তাকিয়ে এই পোস্ট আমি করিনি ৷ আমি মনে করেছি, এই বিষয়টি সর্বত্র সমালোচনা করা দরকার ৷ সাধারণ মানুষ কিন্তু ক্ষুব্ধ ৷ সরকার যদি সাধারণ মানুষের কথা না শোনে ৷ এই সরকারকে কিন্ত আগামী দিনে বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে ৷’’ সাবধানবাণী বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তের গলায় ৷

Last Updated : Dec 18, 2021, 3:08 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.