কলকাতা, 7 এপ্রিল: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলি কেমন চলছে তা নিয়ে এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজভবনে। রাজভবনের তকফে বৃহস্পতিবার রাতে এমনই নির্দেশিকা জারি হয়েছে । তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজকর্ম রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে উপাচার্যদের। আরও বলা হয়েছে, রাজভবনের সবুজ সংকেত ছাড়া কোনও আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
স্বভাবতই এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ একটি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তে তিনি খুশি। বিজেপির এই সহ-সভাপতি মনে করেন, রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমন আবহে এই ধরনের সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মনে করছেন, রাজ্যপাল শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে যে তৎপরতা দেখাচ্ছেন তা হৃদয়বিদারক । এসব না-করে তাঁর উচিত রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রাখা।
এই নির্দেশিকা বেশ কয়েকটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ । তাদের দাবি, এখন যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় এখানে ঠিক তার উলটোটাই বলা আছে । এখন নিয়োগ থেকে শুরু করে আর্থিক সিদ্ধান্ত শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নিয়ে নেয়। পরে তা রাজ্যপালের কাছে যায়। কিন্তু এবার থেকে আর তা হবে না। রাজ্যপালকেই আগে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে । তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই বাস্তবায়িত হবে ।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এমনিতেই বেশ অস্বস্তি রাজ্য প্রশাসন । শাসক দলের একাধিক নেতাকে গ্রেফতার হয়েছেন। খোদ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীও গ্রেফতার হয়েছেন । এমন আবহে রাজ্যপালের এই নির্দেশিকা স্বভাবতই নয়া মাত্রা যোগ করল । এমতাবস্থায় রাজ্য় প্রশাসন কী করে সেটাই দেখার । পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের তরফেও কী প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় সেটা নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে ।
আরও পড়ুন: সরকার আলোচনায় না বসলে আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কর্মীদের