কলকাতা, 1 মে : রাতবিরেতে ফোন আসছে... "দাদা, মা খুব অসুস্থ ৷ অক্সিজেন লেভেল ভয়ঙ্করভাবে নেমে গিয়েছে ৷ এখুনি অক্সিজেন লাগবে ৷" আর ফোন পাওয়া মাত্র বেরিয়ে পড়ছে বাইক-সাইকেল, যার যা আছে... তাই নিয়ে ৷ সিলিন্ডার জোগাড় করে পৌঁছে দিয়ে আসছে বাড়িতে বাড়িতে ৷ ভোট মিটতেই ফের মাঠে নেমে পড়েছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি ৷
কখনও অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে, কখনও করোনা আক্রান্ত মানুষটার জন্য রেমডেসিভির পৌঁছে দিচ্ছে ৷ আবার কখনও করোনা আক্রান্ত পরিবারটার বাড়ি স্যানিটাইজ় করে দিচ্ছে ৷ কারও বাড়িতে আবার প্রত্যেকেই করোনা আক্রান্ত ৷ বাজার করতে যাওয়ার লোক নেই ৷ তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়ে আসছে ৷ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ৷ হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ৷
রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে যে সঙ্কট মোচনের চেষ্টা করা হচ্ছে না, এমনটা নয় ৷ চেষ্টা চলছে ৷ প্রধানমন্ত্রী দু'দিন পর পর বৈঠক করছেন ৷ সুরাহা বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীও হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য বেড সংরক্ষিত করার কথা বলছেন ৷ সঙ্কটজনক নয় এমন রোগীকে অযথা আইসিইউতে ভর্তি করে বেড আটকে না রাখার জন্য বলছেন ৷ স্বাস্থ্য দফতর থেকে সম্প্রতি এইচডিইউ বেডের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে ৷ কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না ৷ তার উপর আবার যোগ হয়েছে অক্সিজেন, রেমডেসিভিরের কালোবাজারি ৷
আরও পড়ুন : করোনার বাড়বাড়ন্ত, ফের মানুষের পাশে দাঁড়াতে কোমর বাঁধছে বামেরা
এই পরিস্থিতিতে রেড ভলান্টিয়ার্সদের এই উদ্যোগ বাহবা কুড়িয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে ৷ ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীকেও সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল রেড ভলান্টিয়ার্সদের পক্ষ থেকে করা একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে ৷ পরে অবশ্য কোনও এক অজানা কারণে তিনি সেই পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন ৷
এর আগেও বাম ছাত্র-যুবদের করোনা-সঙ্কট থেকে রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল ৷ লকডাউনের সময়ে, যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিনই হোক বা বিনা পয়সার বাজার... বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল ৷
মানুষের পাশে দাঁড়াতে বামেদের এই কর্মসূচির ইঙ্গিত কিছুদিন আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সিঙ্গুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য ৷ বলেছিলেন, "মানুষের হয়ে কথা আমরাই বলি । নির্বাচন যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে কেউ বিশ্রাম নিচ্ছেন না । বরং ফের কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকছি ।"