কলকাতা, 16 এপ্রিল : শীতলকুচির ঘটনায় এবার তদন্তের ভার নিল সিআইডি । ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মার নেতৃত্বে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন দল গঠন করা হয়েছে । সিআইডি সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বুথের ভিতরে সমস্ত দলীয় এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট ও প্রিসাইডিং অফিসারদের তালিকা ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানার কাজে চেয়ে পাঠিয়েছে ভবানী ভবন । প্রয়োজন হলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানা গিয়েছে । ভবানী ভবন সূত্রের খবর, এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন দলের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন দক্ষ ডিএসপি পদমর্যাদার অধিকারী ।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সিআইডির একটি বিশেষ দল শীতলকুচির উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে খবর । পাশাপাশি, জেলা পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় থানার থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে । ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে । যদিও সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি । কিন্তু সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটিতে যে ব্যক্তিদের দেখা গিয়েছে, তাদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি, তাদের সঙ্গে সিআইডির বিশেষ প্রতিনিধি দল কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে ।
ওই ভিডিয়োতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কয়েকজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানদের দেখা গিয়েছিল । প্রয়োজন পড়লে আইনি পদক্ষেপ করা হবে । তাদের সঙ্গেও কথা বলতে প্রস্তুত রয়েছে সিআইডির প্রতিনিধিদল । সঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল যার জন্য গুলি চালাতে হল ? কেন গুলি চলল ? কত রাউন্ড গুলি চলেছিল ? পাশাপাশি কোনও রচনামূলক মন্তব্য কোনও জায়গা থেকে করা হয়েছিল কি না এসব কিছু খতিয়ে দেখবেন সিআইডির আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন, শীতলকুচির ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি
এদিকে, শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট 5 মে-র মধ্যে সিআইডিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণ এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছে ৷
চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন শীতলকুচির একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের । এই ঘটনা গণতন্ত্রের হত্যা বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানিয়ে দেন, কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করে দেখবে রাজ্য সরকার ৷ এরপরই আজ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করল সিআইডি ।