কলকাতা, 11 জানুয়ারি: আইসিস জঙ্গি (Suspected ISIS Militant) সন্দেহে কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত আবদুল রাকিব কুরেশিকে 23 জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshall Court)৷ জঙ্গি সংগঠনের একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়িত্বে ছিল কুরেশি । পাশাপাশি একাধিক টেরর ফান্ডিং তার হাত ধরেই হত বলে এসটিএফ সূত্রে খবর । মূলত লজিস্টিক সাপোর্ট এবং বাংলার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের টাকার বিনিময়ে নিজেদের জঙ্গি সংগঠনে সামিল করানোই লক্ষ্য ছিল কুরেশির । আদালতে এই সব বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ।
মধ্যপ্রদেশ থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধৃত আইএসআইএস জঙ্গি আবদুল রাকিব কুরেশিকে ট্রানজিট রিমান্ডে মধ্যপ্রদেশ থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় । সেখানেই বিচারক তাকে 23 জানুয়ারি পর্যন্ত এসটিএফ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷ এই ঘটনায় কুরেশিকে গ্রেফতার করার আগে হাওড়ার টিকিয়া পাড়ার দুই যুবককে আইসিস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ । ধৃতদের নাম সাইদ আহমেদ এবং মহম্মদ সাদ্দাম । তাদের কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে পুলিশের হাতে । সাদ্দামকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মধ্যপ্রদেশ থেকে আবদুল রাকিব কুরেশির খোঁজ পান কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন: সাদ্দামদের গুরু ? আইএস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার আব্দুল রাকিব কুরেশি
লালবাজার সুত্রের খবর, বর্তমানে হেফাজতে থাকা সাদ্দাম এবং সাইদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে তাদের থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে পৃথকভাবে সেই তথ্যের মাধ্যমে কুরেশির কাছ থেকে ক্রস এক্সামিনেশন করাতে চান গোয়েন্দারা । পরে কুরেশি, সাদ্দাম এবং সাইদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা । ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএর তরফ থেকে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।