কলকাতা, 31 মে: কাঁথি পৌরসভার দায়িত্বে থাকাকালীন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে গত বছর জেল থেকেই একটি চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি চিঠি লিখে সে কথা জানিয়েছিলেন। সেই চিঠির বিষয়ে বুধবার সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দিলেন বিচারক ।
উল্লেখ্য, গত বছর সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন চিঠি দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছিল যে, বিরোধী দলনেতা বিজেপির ছত্রছায়ায় রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না । কিন্তু কাঁথি থানার পুলিশ এই চিঠির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করলে তা বন্ধ করার দাবিতে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । তার যুক্তি ছিল সারদা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই । তাহলে একই বিষয়ে রাজ্য পুলিশ আবার কী করে তদন্ত করে ! কিন্তু হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায় চিঠির বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করতেই পারে । সারদা কর্তার অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি পৌরসভার উন্নয়নের নামে ড্রাফট মারফত প্রায় 50 লক্ষ টাকা নেন । এর পাশাপাশি বেআইনিভাবে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন । এর যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত ।
আরও পড়ুন: কাঁথি পৌরসভার নথি চুরির মামলায় সুদীপ্ত সেনকে জেরার অনুমতি আদালতের
এ দিন নগর দায়রা আদালতের বিচারকের নির্দেশের পর তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগদানের পর দিনই একজন(সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে) গ্রেফতার করা হল, এটা কোনও অন্য রাজনৈতিক অংকের হিসাব দিচ্ছে না তো ! কারণ বাইরন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস সবার কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেল । তারপরই এই গ্রেফতারি । এদিকে সুদীপ্ত সেন চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালেও তার তদন্ত করতে উৎসাহী নয় সিবিআই । যদিও এ দিন বিচারক তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ।"