ETV Bharat / state

"নিজের সরকারের কাছে খবর নিন", নিরাপত্তা ইশুতে সুব্রতকে কটাক্ষ রাজ্যপালের - জগদীপ ধনকড়ের সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কটাক্ষ

আজ শহরে চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জগদীপ ধনকড় ৷ সম্মেলনের পরে সাংবাদিকদের সামনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি ৷

jagdeep
author img

By

Published : Oct 20, 2019, 9:19 PM IST

কলকাতা, 20 অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক CRPF-এর হাতে তুলে দেওয়ায় রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ আজ সেই প্রসঙ্গে সুব্রতবাবুর পরোক্ষে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল । এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন ৷ আজ শহরে চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিনি ৷ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সুব্রতবাবুকে কটাক্ষ করেন ৷

রাজ্যপাল বলেন, " তিনি (সুব্রত মুখোপাধ্যায়) বর্ষীয়ান মন্ত্রী । তিনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সরকারের সময়েও মন্ত্রী ছিলেন । শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি । আমি তাঁকে আবেদন করছি, দয়া করে নিজের সরকারের কাছে খবর নিন ৷ এই রাজ্যপাল আপনার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সবরকম পদক্ষেপ করেছে । রাজ্যপালের কাছে ফর্ম্যাল ও ইনফর্ম্যাল সব তথ্য আছে । এই ঘটনায় রাজভবন থেকে যে যোগাযোগ করা হয়েছিল তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখাও হয়েছে । তাই আমি ওই অভিজ্ঞ মন্ত্রীকে আবেদন করব, আপনি সরকারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করুন যিনি এই বিষয়টা দেখছেন । খুঁজে বের করুন রাজভবন থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়েছিল কি না । "

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কটাক্ষ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, " আমি পঞ্চাশ বছর ধরে বিধায়ক । এর আগে তো কখনও শুনিনি কোনও রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন । তিনি তো নিজেই সাংবিধানিক প্রধান । তিনি চাইলেই এখানে সবরকম নিরাপত্তা পেতে পারেন । কিন্তু কেন যে দিল্লি গিয়ে ওভারটেক করে এটা করলেন, তা উনিই বলতে পারবেন । "

BJP-এর রাজ্য নেতৃত্ব নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন । এই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় রাজ্যপালকে ৷ তিনি বলেন , " যাঁরা এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাঁদের প্রশ্ন করুন । আমায় প্রশ্ন করবেন না ।" নোবেলজয়ী কলকাতায় এলে তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ করে সন্মানিত করতে তিনি যে প্রবলভাবে ইচ্ছুক তা জানান রাজ্যপাল । তিনি বলেন, " যখন নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হল আমিই বোধহয় প্রথম যিনি ওঁর মাকে ফোন করেছিলাম । তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপিকা । আমি তাঁকে অনুরোধ করি, অভিজিৎকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে সন্মানিত করতে চাই । যদি ওঁর সময় খুব কম থাকে তাহলে আমি আপনার বাসস্থানে আসতে দ্বিধা করব না ৷ কিন্তু অল্প সময়ের জন্য হলেও দেখা করব । "

কলকাতা, 20 অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক CRPF-এর হাতে তুলে দেওয়ায় রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ আজ সেই প্রসঙ্গে সুব্রতবাবুর পরোক্ষে সমালোচনা করেন রাজ্যপাল । এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন ৷ আজ শহরে চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিনি ৷ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সুব্রতবাবুকে কটাক্ষ করেন ৷

রাজ্যপাল বলেন, " তিনি (সুব্রত মুখোপাধ্যায়) বর্ষীয়ান মন্ত্রী । তিনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় সরকারের সময়েও মন্ত্রী ছিলেন । শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি । আমি তাঁকে আবেদন করছি, দয়া করে নিজের সরকারের কাছে খবর নিন ৷ এই রাজ্যপাল আপনার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সবরকম পদক্ষেপ করেছে । রাজ্যপালের কাছে ফর্ম্যাল ও ইনফর্ম্যাল সব তথ্য আছে । এই ঘটনায় রাজভবন থেকে যে যোগাযোগ করা হয়েছিল তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখাও হয়েছে । তাই আমি ওই অভিজ্ঞ মন্ত্রীকে আবেদন করব, আপনি সরকারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করুন যিনি এই বিষয়টা দেখছেন । খুঁজে বের করুন রাজভবন থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়েছিল কি না । "

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কটাক্ষ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, " আমি পঞ্চাশ বছর ধরে বিধায়ক । এর আগে তো কখনও শুনিনি কোনও রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন । তিনি তো নিজেই সাংবিধানিক প্রধান । তিনি চাইলেই এখানে সবরকম নিরাপত্তা পেতে পারেন । কিন্তু কেন যে দিল্লি গিয়ে ওভারটেক করে এটা করলেন, তা উনিই বলতে পারবেন । "

BJP-এর রাজ্য নেতৃত্ব নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন । এই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় রাজ্যপালকে ৷ তিনি বলেন , " যাঁরা এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাঁদের প্রশ্ন করুন । আমায় প্রশ্ন করবেন না ।" নোবেলজয়ী কলকাতায় এলে তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ করে সন্মানিত করতে তিনি যে প্রবলভাবে ইচ্ছুক তা জানান রাজ্যপাল । তিনি বলেন, " যখন নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হল আমিই বোধহয় প্রথম যিনি ওঁর মাকে ফোন করেছিলাম । তাঁর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপিকা । আমি তাঁকে অনুরোধ করি, অভিজিৎকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে সন্মানিত করতে চাই । যদি ওঁর সময় খুব কম থাকে তাহলে আমি আপনার বাসস্থানে আসতে দ্বিধা করব না ৷ কিন্তু অল্প সময়ের জন্য হলেও দেখা করব । "

Intro:কলকাতা, ২০ অক্টোবর: রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেই বিষয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আজ আবার কলকাতায় চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে গিয়ে নাম না করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায় উদ্দেশ্যে নাম না করে বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা বলে খুঁজে বের করতে যে রাজভবন থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করা হয়েছিল কিনা। এ ছাড়া, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তিনি যে‌ প্রবলভাবে আগ্রহী তাও জানান রাজ্যপাল।
Body:আজ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, "ওই মন্ত্রী খুব বরিষ্ঠ মন্ত্রী। উনি সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সরকারের সময়েও মন্ত্রী ছিলেন। খুব শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। আমি তাঁকে আবেদন করছি, দয়া করে নিজের সরকারের কাছ থেকে খুঁজে বের করুন যে, এই রাজ্যপাল সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে আপনার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার। তারপরেও জনগণকে বলা যে, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে লেখেনি, সেটা সঠিক বক্তব্য নয়। রাজ্যপালের কাছে ফর্ম্যাল ও ইনফর্ম্যাল সব তথ্য আছে। শুধু তাই নয়। এই ঘটনায় রাজভবন থেকে যে যোগাযোগ করা হয়েছিল তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখাও হয়েছে। তাই আমি ওই অভিজ্ঞ মন্ত্রীকে আবেদন করব, যাকে আমি বিশাল শ্রদ্ধা করি যে, স্যার একই বক্তব্য বার বার বলার থেকে আপনি সরকারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করুন যিনি এই বিষয়টা দেখছে। খুঁজে বার করুন রাজভবন থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়েছিল কিনা। উনি তখন জেনে যাবেন।"

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনকে নিয়ে কটাক্ষ কর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আমি পঞ্চাশ বছর ধরে বিধায়ক। এর আগে তো কখনও শুনিনি কোনও রাজ্যপাল নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন। উনি তো নিজেই সাংবিধানিক প্রধান। উনি চাইলেই এখানে সবরকম নিরাপত্তা পেতে পারেন। কিন্তু কেন যে দিল্লিতে গিয়ে ওভারটেক করে এটা করলেন, তা উনিই বলতে পারবেন।" সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্যপাল। আজ আবার তাঁর নাম না নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন জগদীপ ধনকড়। যদিও, নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করার আগেই তিনি বলে ওঠেন, "নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।"

অন্যদিকে, বিজেপি ও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার আক্রমণ করছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, অন্যান্য বক্তব্যের ক্ষেত্রে বলব, যাঁরা এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন। আমায় জিজ্ঞাসা করবেন না। যদি এই নিয়ে অন্য কোনও ইস্যু হয় সেগুলো অন্যরা অ্যাড্রেস করবেন।" পাশাপাশি, নোবেলজয়ী কলকাতায় এলে তাঁকে রাজভবনে আমন্ত্রণ করে সন্মানিত করতে তিনি যে প্রবলভাবে ইচ্ছুক তা স্পষ্ট করে জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "যখন নোবেলজয়ীয় নাম ঘোষণা করা হল আমিই বোধহয় প্রথম যিনি ওনার মাকে ফোন করেন। আমি জানতে পারি তিনি নিজে একজন প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপিকা। আমরা অনেকক্ষণ ধরে কথা বলি। আমি ওনার মাকে অনুরোধ করি, এবার উনি খুব কম সময়ের জন্য আসছেন, আমি খুব খুশি হব পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নাগরিক হিসেবে ওনাকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে সন্মানিত করতে। যদি সময় খুব কম থাকে তাহলে আমি আপনার বাসস্থানে আসতে দ্বিধা করবো না এবং ওনার সঙ্গে খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা করব। আমার স্টাফরাও তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমি এখনও ওনাদের থেকে উত্তর পাইনি। কিন্তু, আমি জানি উনি খুব কম সময়ের জন্য আসছেন। যদি এবার সম্ভব না হয় তাহলে পরের বার তা সম্ভব হবে।"

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য উনি তাঁর সিডিউল বদল করতেও রাজি করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, " আমি খুব খুশি যে বাংলা থেকে একজন নোবেল পেয়েছেন। আমি উচ্ছসিত হয়ে ওনার মাকে ফোন করেছিলাম। তিনিও খুব খুশি ও উচ্ছসিত ছিলেন যে, তাঁর ছেলে আমাদের গর্বিত করেছে। একজন বাঙালি, বাংলার মাটির ছেলে আমাদের জন্য একটা সন্মান এনেছেন, আমি এটাতে আনন্দ করতে চাই এবং আমি চেষ্টা করেছি। আমি নিশ্চিত যে, উনি যখন আসবেন, তাঁর মা যখন তাঁকে আমার অনুভূতি জানাবেন, সেই অনুভূতি আমি নিজে এবং আমার স্টাফ জানাব, তারপরে যদি উনি একটুও সময় বের করতে পারেন রাজভবনে আসার জন্য, তাহলে আমি খুব খুশি ও উচ্ছসিত হবো আমার কোনও প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে, সেটা ওনার সিডিউল অনুযায়ী অ্যাডজাস্ট করতে।"
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.