কলকাতা, 3 নভেম্বর : সর্ষের মধ্যেই ছিল ভূত । জমা পড়েছিল অভিযোগ । সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে রাঘব বোয়ালের সন্ধান পেল CBI। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল কাস্টমসের দুই কর্মী এবং দুই ব্যবসায়ীকে । কাস্টমসের দুই কর্মীর মধ্যে রয়েছেন একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার ।
CBI সূত্রে জানা গেছে, মামলা 2017 সালের । কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার বিকাশ কুমার দুবে এবং ব্যবসায়ী জ্যোতি বিশ্বাস মিলিতভাবে হুনদি জমা দিয়ে কাস্টমস ডিউটি ফাঁকি দিচ্ছিলেন । অভিযোগ, তাঁরা কাস্টমস ডিউটি ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রে ব্যবহৃত চাকতি বাংলাদেশে রপ্তানি করছিলেন । এই কাজ করছিল জ্যোতি বিশ্বাসের সংস্থা । এই ব্যবসায় টাকা লাগিয়েছিলেন বিকাশ কুমার । কাস্টমসের হিসেব এতে প্রায় 50 কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে । সেই সূত্র ধরে কাস্টমস এবং সেন্ট্রাল এক্সাইজ়ের তরফে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ ।
পাশাপাশি চন্দন কাঠ রপ্তানি নিয়েও হয়েছে দুর্নীতি । অন্তত CBI প্রমাণ পেয়েছে তার । সন্দীপ কুমার দীক্ষিত নামে এক কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট এবং ব্যবসায়ী সুধীর কুমার ঝা এই মামলায় জড়িত বলে অভিযোগ । তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে 240 মেট্রিকটন চাল রপ্তানিতে 100 কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির । কাস্টমসের তরফে 2016 সাল থেকে এই মামলার তদন্ত শুরু হয় । তারপর এই বিষয়টি জানানো হয় CBI-কে ।
ওই কাঠ আসলে চন্দন কাঠ । সেগুলি পাঠানো হয়েছিল মায়ানমারে । কলকাতা বন্দর থেকে সেই কাঠ রপ্তানি করা হয় । সে ক্ষেত্রে রপ্তানির নিয়ম মানা হয়নি । গতকাল ওই চারজনকে ডেকে পাঠানো হয় CBI-র নিজাম প্যালেসের অফিসে । দীর্ঘ জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকেই । আজ তাঁদের CBI আদালতে তোলা হবে ।