কলকাতা, 5 জুলাই: কলকাতা পৌরনিগমের অন্দরে ফের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ ৷ এবার প্রতারিত মালদার দুই যুবক আনারুল শেখ ও রিয়াজুল শেখ ৷ তাঁদের চাকরি দেওয়ার নাম করে মঙ্গলবার আসতে বলা হয় এস এন ব্যানার্জি রোডের কলকাতা কর্পোরেশনের সদর দফতরে ৷ চাকরি পেতে তাঁরা মালদা থেকে সোজা কলকাতা কর্পোরেশেনে এসে হাজির হন ৷ সেখানেই দুই প্রতারকের জালে পরেন তাঁরা ৷ চাকরির নামে তাঁদের যে স্রেফ ঠকানো হচ্ছে তা বুঝে ওঠার আগেই চম্পট দেয় দুই প্রতারক ৷ ঘটনায় ফের শোরগোল কলকাতা কর্পোরেশনের অন্দরে ৷
চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আনিরুলদের পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে যায় দুই প্রতারক৷ জন্ম- মৃত্যু সংশাপত্র বিভাগের ঘরে বসিয়ে তাঁদেরকে কিছু কাগজে সইও করায় তারা। বিষয়টি সন্দেহজনক বুঝে কর্পোরেশনের নিরাত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের জানান এক পৌরকর্মী ৷ পরিস্থিতি গোলমেলে বুঝেই পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয় প্রতারকরা। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানতে মালদার ওই দুই যুবককে নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তাঁদের থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রতারকরা কর্পোরেশনে কোনও কর্মী কি না, তা এখনও অজানা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রতারকা আনিরুলদের থেকে চাকরির বদলে কোনও টাকা নিয়েছে কি না ৷ পৌরনিগমে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা এই নতুন নয়। মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো কাজের টোপ, পৌর সচিবের নাম করে ভুয়ো মেইল আইডি বানানোরও অভিযোগ উঠেছিল এর আগে। এমনকী কর্পোরেশনের অন্দরে বসে ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়ার মতও ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় একবার ধরা পড়েছিল ভুয়ো আইএএস। উল্লেখযোগ্য দিক হল, এই প্রত্যেকটি প্রতারণা মূলত পৌরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবনে সংরক্ষিত এলাকায় ঘটে। পরপর চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই পৌরনিগমের নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ফের হাজিরা সায়নীর, আনতে হবে ব্যাঙ্কের নথিও
এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, নবান্নের মত আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হবে কলকাতা কর্পোরেশনকে। যাতে লোকজনের আসা যাওয়া কমে তার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা ইতিমধ্যেই কলকাতা কর্পোরেশন অনলাইনে করেছে। তবে চাকরি দেওয়ার টোপ এখনও চলেই যাচ্ছে প্রতারনার ব্যবসা। রাজ্যে বেকারত্বের হাহাকার এতটাই বেশি যে বারে বারে কাজ পাওয়ার প্রলোভনে পা দিয়ে ফেলেছেন রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম৷ যা চিন্তার ৷