কলকাতা, 10 জুলাই: ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের দুটি বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা। আত্ম সংযমের আরবি মাস রমজান । মাসভর নির্জলা উপবাস বা রোজা পালন করার পর ঈদ পালন করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী ধর্মপ্রাণ মানুষেরা । আরও একটি হল ঈদ উল আযহা যা কুরবানির ঈদ । এক কথায় ত্যাগের ঈদ । এই ঈদে পশু কুরবানি করার রীতি আছে । কিন্তু, এই রীতি অনুযায়ী পশু কুরবানি করতে নারাজ তপসিয়ার বাসিন্দা আলতাব হোসেন । তিনি শাক, সবজি, ডিম, দুধেই বিশ্বাসী । তাঁর মতে, ঈদ-উল-আযহা ত্যাগের ঈদ । তাই পশুকেই কুরবানি দিতে হবে এমনটা বাধ্যবাধকতা নেই । তাই পশু হত্যা না করেও কুরবানির ঈদ পালন করেন তিনি (Eid ul Adha celebrated) ৷
রবিবার এনআরএস হাসপাতালের সামনে আলতাব হোসেন, কুশল সমাদ্দাররা ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হন । নিয়ে আসেন ভেজ বিরিয়ানি । এনআরএস হাসপাতালের প্রধান দরজায় ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টাঙান । সামনে পাতেন টেবিলও । সারি সারি সাজানো বিরিয়ানির প্যাকেট । সামনে বিরাট লাইন । ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একে একে লাইনে দাঁড়ানো প্রত্যেকের হাতে তাঁরা ভেজ বিরিয়ানির প্যাকেট তুলে দেন ।
আরও পড়ুন : Eid-ul-Adha: ফিরল চেনা ছবি, হাওড়া শহরে ঈদের নমাজে সামিল সাধারণ মানুষ
আলতাব হোসেন জানান, তাঁর সঙ্গে কুশল সমাদ্দার ছাড়াও আরও কয়েকজন যুবক-যুবতী আছেন । তাঁরা একটা সংস্থাও গড়ে তুলেছেন । সেই সংস্থার তরফে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে । তারা প্রত্যেকেই সবুজ রক্ষাযর পক্ষে ও পশু হত্যার বিরোধী । তাঁদের মতে, খাদ্যশৃঙ্খল বজায় রাখার স্বার্থে সবুজ রক্ষার পাশাপশি পশু হত্যাও বন্ধ হওয়া উচিত । সংস্থার সভাপতি আলতাব বলেন, "ছোট বেলায় মাংস খেয়েছি । এখন খাই না । এবার ঈদে বাড়িতে কোনও মাংসের ব্যবস্থা হয়নি । তারপরও ভালোভাবে ঈদ পালন হয়েছে ।"
আলতাব বলেন, "আমি মনে করি গরিব মানুষদের কাঁচা মাংস না দিয়ে তাঁদের রান্না করা খাবার দেওয়াটাই বেশি অর্থবহ । যা তাঁরা উপভোগ করতে পারে । আমিও আল্লাহর নামে কুরবানির অংশ হিসেবে ঈদের দ্বিতীয় দিনে রক্তদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।"
আরও পড়ুন : Arjun Singh Celebrates Eid: টিটাগড়ে বকরি ঈদের নমাজে অংশ নিলেন অর্জুন সিং
কুশল সমাদ্দা বলেন, "সবুজ ঈদ উদযাপনের দৃষ্টিভঙ্গি হল মানুষকে দেখানো যে, প্রত্যেকে তাঁদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারেন কোনও প্রাণীর ক্ষতি না করে ৷"