কলকাতা, 6 এপ্রিল : পাট এবং চা শিল্পকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন AIUTUC-র রাজ্য কমিটির সদস্যরা । আজ এক বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেবেন তাঁরা ।
লকডাউন মিটে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে ৷ তখন চা এবং পাট শ্রমিকদের যাঁরা কর্মচ্যুত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে পুনর্বহাল করতে হবে ৷ এমনটাই দাবি করেছেন AIUTUC - র সদস্যরা । কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ বর্তমানে গোটা বিশ্বে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে । একই অবস্থা ভারতেও ৷ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেষ্ট রাজ্য সরকারও । চিকিৎসাবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে লকডাউনের । কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং খাদ্য ও গণবণ্টনদপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, চা শিল্প ও পাট শিল্পকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হবে । তাই এই দুই শিল্পে কাজ চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন AIUTUC - র সম্পাদক তপন মুখোপাধ্যায় ।
তিনি বলেন ," কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি । সরকার অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি প্রচার বন্ধ করুক । রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, সমগ্র সমাজের স্বার্থে কোনও অজুহাতেই চা বাগান ও চটকলকে এই লকডাউনের সময় চালু করা চলবে না । কারণ এই দুটি শিল্প শ্রম নিবিড় । হাজার, হাজার শ্রমিক কারখানায় যাতায়াত শুরু করলে সাধারণ মানুষও যাতায়াত শুরু করবেন । ফলে এই দুটি শিল্প চালু হলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লকডাউনের কোনও কার্যকারিতা থাকবে না । একবার যদি কোরোনা সংক্রমণ শুরু হয়, তবে তা বিস্ফোরক আকার নেবে । "
চা ও পাট শিল্পকে লকডাউনের আওতায় আনতে হবে । অসংগঠিত শ্রমিকদের লকডাউনের সময়ও বেতন দিতে হবে । লকডাউনের সময় সকল শ্রমিককে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে হবে ৷ এছাড়াও 3 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সকল শ্রমজীবী মানুষকে ৷ কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধক সকল সুবিধারও দাবি জানানো হয়েছে AIUTUC - র বিবৃতিতে ।