কলকাতা, 26 মে: রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে যে আমানতকারীরা এখনও টাকাও পায়নি তাঁদের প্রতিবাদে পাশে এসে দাঁড়ালেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷ শুক্রবার কলকাতায় তিনি এই চিটফান্ডে আমানতকারীদের একটি বিক্ষোভ সভায় যোগ দেন ৷ এদিন এই বিজেপি বিধায়ক দাবি করেন, রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে তৃণমূল মুখ্যপাত্র কুণাল ঘোষ ও মুখ্যমন্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক ৷ কারণ, জেলে থাকাকালীন কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ চুনোপুটি ছেড়ে এবার মাথাদের গ্রেফতার করার দাবি জানান তিনি ৷
অগ্নিমিত্রা এদিন জানান, রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কারণে অনেক আমানতকারীরা এখনও টাকা ফেরত পাননি । ঘটি-বাটি বেচে অনেকে টাকা রেখেছিলেন ৷ উল্লেখ্য, দেশের চারটি সাহারা ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটির আমানতকারীদের বকেয়া টাকা যে পদ্ধতিতে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেভাবেই এবার রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফের দেওয়ার দাবি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া রোজভ্যালি সাফারার্স অ্যাসোসিয়েশন । এদিন কলকাতার মেয়ো রোডে গন্ধিমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ সভা করেন আমানতকারীরা ৷ এখান থেকে আমানতকারীদের সই সংগ্রহ করে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে পাঠানো হবে ৷
অগ্নিমিত্রা পল এদিন বলেন,"রাজ্যে যে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে তাতে মাথা থেকে নিচুতলা পর্যন্ত সবাই জড়িত । কালীঘাটের অনেক মাথাই এর সঙ্গে যুক্ত । মহামান্য আদালতের কাছে আর্জি এবার দুর্নীতির মাথাদের ধরার ব্যবস্থা করা হোক৷" অগ্নিমিত্রা এদিন অভিযোগ করেন, প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা শুরু করেছিলেন । প্রতারিতদের সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী 500 কোটি টাকার একটি তহবিল শুরু করেছিলেন । তাঁর কথায়,"সেই টাকা তো মানুষের করের টাকা । চুরি করল তৃণমূল আর তহবিল তৈরি হবে সাধারণ মানুষের টাকায় । কেন? সেই তহবিলের টাকাও মানুষ পায়নি ।"
আরও পড়ুন: রোজভ্যালি-কাণ্ডে আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর দাবিতে এবার শাহকে চিঠি
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অগ্নিমাত্রা বলেন,"অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বাঘ হলে তাঁর আইনজীবীরা তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পরে সেই আশঙ্কায় আদালতে দৌঁড়চ্ছেন কেন? তাহলে উনি বাঘ হয়ে এমন ইঁদুরের মতো কাজ করছেন কেন?" মুখ্যমন্ত্রীর এগরা সফর প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঘটনার এতদিন পরে মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন । টাকা দেওয়ার পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির মা-বাবা এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর ৷