কলকাতা, 25 অগস্ট: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় তৎপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার সিসি ক্যামেরা লাগানোর যে কাজের প্রক্রিয়া সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ । এই কাজের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা করছে । বুধবার সরকারি এই সংস্থার পক্ষ থেকে হিসাব দেওয়া হয়েছিল । যাতে প্রায় 37 লক্ষ টাকা দরপত্র দিয়েছে এই সংস্থা ।
কিন্তু কবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসবে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷ গতকাল রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকের পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছে বলে জানা যায় । বৈঠকের পরে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেছিলেন,"রাজ্যপাল সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথা বারবার বলছেন । উনি বলেছিলেন আজকের মধ্যেই তা লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে । তবে আজ সেটা সম্ভব নয় তাই আগামিকাল আমরা দেখব ।" এরপর আজ তিনি বলেন, "ওয়েবেলের প্রতিনিধিরা আজ এলে কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসবে সেই বিষয়ে একটা রোড ম্যাপ তৈরি করা হবে ৷ এটা হলেও কাজ অনেকটা এগিয়ে থাকবে ।"
আরও পড়ুন : র্যাগিং রুখতে প্রযুক্তির খোঁজে ইসরোকে ফোন রাজ্যপালের, কী জবাব এল ?
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর 'ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড' ছাড়াও আরও একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ছিল । তবে বৈঠকের পরে উপাচার্য আর অপেক্ষা করতে চাননি । ফলে শুক্রবারই ক্যামেরা লাগানো যে প্রক্রিয়া তার নির্দেশিকা জারি করতে চলেছেন । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও হোস্টেলের গেট নিয়ে মোট 10টি জায়গাতে আপাতত ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ।
তবে এই সিসি ক্যামেরা লাগানো ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে । উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বুদ্ধদেব সাউয়ের মুখেই শোনা গিয়েছিল সিসিটিভি নিয়ে বিভিন্ন সুর । তিনি প্রথমে বলেছিলেন, "সিসিটিভিকে ম্যাজিক শব্দ বলে মনে হচ্ছে ৷ যা লাগালেই সমস্যার সমাধান ।" তবে এই মন্তব্যের 24 ঘণ্টার মধ্যেই ফের ভোলবদল । এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে সিসিটিভি লাগানোর পক্ষে কথা বলতে শোনা গেল । আবার বুধবার তিনি বলেন, "সিসি ক্যামেরা সার্বিক পরিকাঠামো তৈরির সিদ্ধান্ত হবে কর্মসমিতির বৈঠকে ।" দ্রুত এই বৈঠক ডাকা হবে বলেই জানান । তাহলে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে কী এমন হল যার পর সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে এত তৎপরতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের !