কলকাতা, 18 এপ্রিল: চুরি, দুর্নীতিতে রাজ্যজুড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা যে হারে ধরা পড়ছে, তাতে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে মুখ ঘোরাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিধানভবনে এমনই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী ।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আরও বলেন, "রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে বাংলায় কংগ্রেস নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারবে । কারণ, রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বহু কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন । কারণ, তাঁরা বুঝে গিয়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস চুরি, দুর্নীতি ছাড়া কিছুই বোঝে না । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে ৷"
অধীররঞ্জন চৌধুরীর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি রাজ্যের মানুষের মোহমুক্তি ঘটছে । যত দিন যাচ্ছে এই ছবি ততই স্পষ্ট হচ্ছে । কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে প্রায় প্রতিদিন বহু মানুষ কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন । মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনার মতো একাধিক জেলায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের মেলা লেগে রয়েছে । এদিনও মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিধানভবনে এসে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন । যতদিন যাবে ততই কংগ্রেসে যোগদানের প্রবণতা বাড়তে থাকবে বলেই মত এই অধীরের ৷
2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের যে অভিযোগ উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ তুলে অধীর চৌধুরী জানান, এবারের রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষ জবাব দেবে । বাংলায় কংগ্রেস অস্তিত্ব প্রমাণ করবে । তাঁর দাবি, কংগ্রেস বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে, রাজ্যজুড়ে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা কাজ করছেন । অধীরের কথায়, "সংবাদমাধ্যমে যদিও তা প্রকাশ পাচ্ছে না । কিন্তু, আমাদের লড়াই জারি আছে । বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে । হাওড়ায় যে জায়গায় অশান্তি হয়েছিল, সেখানে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে একজোট করার কাজ আমাদের জারি আছে । আগামীতেও থাকবে ।"