কলকাতা, 2 জানুয়ারি: কলকাতায় প্রবেশ করল ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra in Kolkata)। নেতৃত্বে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Chowdhury led Bharat Jodo Yatra in Kolkata)। সোমবার তারাতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মোট 20 কিলোমিটার এই বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় সামিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা । এই দীর্ঘপথের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত তা রয়েছে, সে বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ ।
এই বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য,"তৃণমূল কংগ্রেসের গড় বলে কোনও কিছুই নেই । 2004 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র একটা আসন পেয়েছিলেন । কলকাতার একদিনের যারা মালিক ছিলেন সেই সাবর্ণ রায়চৌধুরীর পরিবার আজকের পদযাত্রায় সামিল হয়েছেন । পদযাত্রার শুরুতে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন । আজকের পদযাত্রার এটাই বিশেষ পাওনা । দীর্ঘ পথের মধ্যে প্রত্যেকটি এলাকার মানুষজন ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার সঙ্গে আমাদের স্বাগত জানাচ্ছেন, এই পদযাত্রা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করছেন ।"
আরও পড়ুন : অধীরের নেতৃত্বে ‘সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা’ প্রদেশ কংগ্রেসের
দীর্ঘ পদযাত্রায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাঁটির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "কে ক'টা আসন পেল বা কে ক'টা পায়নি তা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের ভাগ্য বিচার করা যায় না । স্বাভাবিকভাবেই কারও কোনও ঘাঁটির কথা মানতে রাজি নই । আমাদের এই মিছিল পদযাত্রা যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার উপর দিয়ে না যেতে পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে চাপ দেওয়া হয়েছিল ৷ তাঁরা বলেছিল, এই পথযাত্রা ওই নির্দিষ্ট এলাকা দিয়ে যেতে পারবে না । স্বাভাবিকভাবেই শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় তৃণমূল কংগ্রেসের এই ব্যবহার অরুচিকর । এই ধরনের রাজনীতি বাংলা থেকে অপসারিত হোক । তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের এই পদযাত্রাকে গুরুত্ব দিল কী দিল না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় । বরং তৃণমূল কংগ্রেসকে বলব গোটা রাজ্য জুড়েছে দুর্নীতির যে আস্তরণ পড়েছে সেগুলো অপসারণ করা হোক ।"
সোমবার দু'দফায় পদযাত্রায় সামিল হচ্ছেন তাঁরা । বেলার দিকে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য অফিস বিধান ভবনে পদযাত্রা পৌঁছায় । পরে সেখান থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত পদযাত্রা হবে । তারপর জনসভায় এদিনের ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হবে ।
এদিন সকালে তারাতলা থেকে পদযাত্রা শুরু হয় । সেখান থেকে তারাতলা মোড়, নিউ আলিপুর, দুর্গাপুর ব্রিজ, গোবিন্দ রোড, প্য়ারীমোহন রায় রোড, রাখালদাস আড্ডা রোড, কালীঘাট ব্রিজ, বেকবাগান, এজিসি বোস রোড, ল্যান্সডাউন রোড, লালা লাজপত রায় রোড হয়ে শেষ পর্যন্ত বিধান ভবনে পৌঁছায় । তারপর সেখান থেকে শিয়ালদা, রাজাবাজার, হাতিবাগান ও শ্যামবাজার পাঁচ মাথায় সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে ।
আরও পড়ুন : ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর, রাহুলের সঙ্গে পা মেলালেন রঘুরাম রাজন