কলকাতা, 11 মার্চ: তৃণমূলের সুরেই এবার বঙ্গে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) সরব হল কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। মণীশ সিসোদিয়া গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে আপ নেতারা বলেন, "বিরোধী কণ্ঠরোধ করতেই ইডি, সিবিআই-কে ব্যবহার করছে বিজেপি।" সম্প্রতি বিজেপি বিরোধী দলগুলোর হতে থাকা বিভিন্ন রাজ্যে ইডি সিবিআই থেকে আয়করের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো অভিযান চালাচ্ছে। দিল্লি, বিহার, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর সক্রিয়তা।
এদিন আম আদমি পার্টির মুখপত্র সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, বিজেপি সরকার বিরোধী কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ইডি, সিবিআই পাঠাচ্ছে বিজেপি। মোদির লক্ষ্য 'বন্ধু' আদানিকে এক নম্বর নিয়ে যাওয়া। তিনি এদিন বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, "নেতাদের প্রশ্ন 14 দিন ইডি, সিবিআই অভিযান চালিয়ে কী পাওয়া গেল? প্রকাশ্যে আনুন। আড়াই লাখ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় 84 হাজার কোটি মাফ করা হয়। তাঁদের বন্দরে মাদক পাওয়া গেলে কোনও তদন্তকারী যায় না। মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা নিয়ে সুর চড়িয়ে বলেন, "দেশে যদি আপ ক্ষমতায় এলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ঘরে যাবে বিনামূল্যে ৷ আর আদানিরা এগুলো বিক্রি করতে পারবেন না। তাই মোদি সরকারের লক্ষ্য আম আদমি পার্টিকে নানাভাবে হেনস্তা করা ৷
আরও পড়ুন: সিসোদিয়াকে চাপ দিয়ে ভুল নথি সই করাতে চাইছে সিবিআই, অভিযোগ আপের
দিল্লির পরে পঞ্জাব দখলে এসেছে আপের। ফলে ধীরে ধীরে জাতীয় দল হিসেবে উঠে আসছে। সেটা বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে ।
বক্তাদের কথায়, "না আছে শিক্ষা, না-আছে স্বাস্থ্য মডেল। একটাই মডেল আছে ঘোড়া কেনাবেচা করছে।" উদাহরণ হিসেবে সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, "এরাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের মতো দুর্নীতিবাজরা বিজেপি-তে গেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে সব তদন্ত ধামাচাপা পড়ছে ।" আগামী 2024 লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরবে কি না, এই প্রসঙ্গের সদুত্তর দিতে পারেননি আপ নেতারা। তবে তৃণমূল নিয়ে নরম মনোভাব পোষণ করেন তাঁরা। যেটা দুর্নীতি, অন্যায় সেটা নিয়ে আপস করবে না বলেও বার্তা দেন তাঁরা। তবে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিজেপি বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখনই কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেননি আপ নেতারা।