ETV Bharat / state

এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সুন্দরবনে

এক বছরে 8 টি বাঘ বেড়েছে সুন্দরবনে ৷ সবমিলিয়ে এই বছর বাঘের সংখ্যা মোট 96 ৷ গত বছরে এই সংখ্যা ছিল 88 ৷

Kolkata
কলকাতা
author img

By

Published : May 6, 2020, 9:52 PM IST

কলকাতা , 6 মে : সুন্দরবনে রেকর্ড বৃদ্ধি পেল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা । চলতি বছর 8টি বাঘ বেড়েছে সুন্দরবনে । 2010 সালে বাঘশুমারি শুরু হওয়ার পর এক বছরে এই পরিমাণ বাঘের সংখ্যা এই প্রথম বৃদ্ধি পেল । এবছর বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট 96 । গত বছর এই সংখ্যা ছিল 88 । মোট রয়েল বেঙ্গলে বাঘিনীর সংখ্যাই বেশি । একই সঙ্গে বাঘের চোরাচালানের সংখ্যা কমেছে । সমস্ত বাঘ সুস্থ রয়েছে । জঙ্গলের বাঘে কোরোনার প্রভাব নেই । আজ সল্টলেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । উপস্থিত ছিলেন বন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুজিত বোস সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা ।

জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (NTCA)-এর নিয়ম অনুযায়ী 2010 সালে প্রথম সুন্দরবনে সর্বভারতীয় ব্যাঘ্র পরিগণনার অনুশীলনগুলি শুরু হয় । 2012 থেকে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (NGO) সহযোগিতায় ও NTCA-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী বন দপ্তর চতুর্থ পর্যায়ে ব্যাঘ্র পরিগণনার অনুশীলন চালাতে থাকে । বিগত দুই বছরে বন দপ্তর বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে কেবলমাত্র যন্ত্র কাঠামোগত(ফাঁদ ক্যামেরা ও প্রশিক্ষণ) সহযোগিতা নিয়ে স্বনির্ভরভাবে এই ফাঁদ ক্যামেরা পাতবার মাধ্যমে ব্যাঘ্র পর্যবেক্ষনের কাজ করতে পেরেছে ।

2019 সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় 578 টি ট্র্যাপ ক্যামেরা পেতে বাঘ গণনা শুরু করে বনদপ্তর । বনদপ্তর ব্যাঘ্রপ্রকল্প সূত্রে খবর , সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে । সুন্দরবনের প্রায় তিন মাস ধরে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের গণনা চলে । বিভিন্ন নদী ও খাঁড়িতে বসানো হয়েছিল এই ক্যামেরা । সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় যেমন ক্যামেরা বসিয়ে গণনা হয়েছিল , তেমনি গণনা করা হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার বনদপ্তরের বনবিভাগের । 26 ডিসেম্বর থেকে 18 জানুয়ারি পর্যন্ত টাইগার প্রজেক্ট এলাকায় ক্যামেরার সাহায্যে বাঘ গণনার কাজ হয়েছিল । তারপর 22 জানুয়ারি থেকে 16 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণ 24 পরগনার ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এলাকায় বাঘ গণনা হয় ।

ফাঁদ ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলি নিয়ে যথেষ্ট হিসাব-নিকাশ করে তারপরেই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর । আর এই পুরো কাজটা দেরাদুন থেকেই হয়েছে ।

এবিষয়ে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সুন্দরবনের বাঘ বাড়ার ঘটনা সত্যিই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ । এই সংখ্যাটা পরবর্তীতে যাতে সেঞ্চুরি অতিক্রম করে যায় , তার দিকে লক্ষ্য রাখা হবে । সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বাড়ার ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে । সুন্দরবনের 4200 বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে 3700 এলাকায় বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র আছে । বাঘ বাড়াতে গেলে আগামী দিনে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল বাড়াতে হবে ৷"

ভারত আর বাংলাদেশের মিলিতভাবে সুন্দরবনের অবস্থান । সুন্দরবনের বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশের দিকেই রয়েছে । ফলে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের দিক থেকে বাঘ ভারতে যেমন ঢুকে পড়ে , তেমনি ভারতের বাঘও বাংলাদেশের জঙ্গলে যাতায়াত করে ৷ তারও প্রমাণ পেয়েছে বনদপ্তর । বাংলাদেশের দিক দিয়ে আগে বন্যপ্রাণী চোরাকারবারীরা ঢুকে পড়ত সুন্দরবনের জঙ্গলে । ইদানিং বনদপ্তরের নজরদারিতে তা অনেকটাই কমেছে । আর চোরা শিকারিদের উপরে নজরদারির ফলেই বেড়েছে বাঘের সংখ্যা । সুন্দরবনের জঙ্গলে নেট ফেন্সিং দেওয়ার কারণে জঙ্গলের বাঘ বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না । এর ফলে বাঘের মৃত্যুর হার যেমন একদিকে কমেছে , তেমনি জঙ্গলে যথেষ্ট পরিমাণে খাবারের ও জোগান বেড়েছে ।

কলকাতা , 6 মে : সুন্দরবনে রেকর্ড বৃদ্ধি পেল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা । চলতি বছর 8টি বাঘ বেড়েছে সুন্দরবনে । 2010 সালে বাঘশুমারি শুরু হওয়ার পর এক বছরে এই পরিমাণ বাঘের সংখ্যা এই প্রথম বৃদ্ধি পেল । এবছর বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট 96 । গত বছর এই সংখ্যা ছিল 88 । মোট রয়েল বেঙ্গলে বাঘিনীর সংখ্যাই বেশি । একই সঙ্গে বাঘের চোরাচালানের সংখ্যা কমেছে । সমস্ত বাঘ সুস্থ রয়েছে । জঙ্গলের বাঘে কোরোনার প্রভাব নেই । আজ সল্টলেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানালেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । উপস্থিত ছিলেন বন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুজিত বোস সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা ।

জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (NTCA)-এর নিয়ম অনুযায়ী 2010 সালে প্রথম সুন্দরবনে সর্বভারতীয় ব্যাঘ্র পরিগণনার অনুশীলনগুলি শুরু হয় । 2012 থেকে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (NGO) সহযোগিতায় ও NTCA-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী বন দপ্তর চতুর্থ পর্যায়ে ব্যাঘ্র পরিগণনার অনুশীলন চালাতে থাকে । বিগত দুই বছরে বন দপ্তর বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে কেবলমাত্র যন্ত্র কাঠামোগত(ফাঁদ ক্যামেরা ও প্রশিক্ষণ) সহযোগিতা নিয়ে স্বনির্ভরভাবে এই ফাঁদ ক্যামেরা পাতবার মাধ্যমে ব্যাঘ্র পর্যবেক্ষনের কাজ করতে পেরেছে ।

2019 সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় 578 টি ট্র্যাপ ক্যামেরা পেতে বাঘ গণনা শুরু করে বনদপ্তর । বনদপ্তর ব্যাঘ্রপ্রকল্প সূত্রে খবর , সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে । সুন্দরবনের প্রায় তিন মাস ধরে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের গণনা চলে । বিভিন্ন নদী ও খাঁড়িতে বসানো হয়েছিল এই ক্যামেরা । সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় যেমন ক্যামেরা বসিয়ে গণনা হয়েছিল , তেমনি গণনা করা হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার বনদপ্তরের বনবিভাগের । 26 ডিসেম্বর থেকে 18 জানুয়ারি পর্যন্ত টাইগার প্রজেক্ট এলাকায় ক্যামেরার সাহায্যে বাঘ গণনার কাজ হয়েছিল । তারপর 22 জানুয়ারি থেকে 16 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণ 24 পরগনার ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এলাকায় বাঘ গণনা হয় ।

ফাঁদ ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলি নিয়ে যথেষ্ট হিসাব-নিকাশ করে তারপরেই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর । আর এই পুরো কাজটা দেরাদুন থেকেই হয়েছে ।

এবিষয়ে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সুন্দরবনের বাঘ বাড়ার ঘটনা সত্যিই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ । এই সংখ্যাটা পরবর্তীতে যাতে সেঞ্চুরি অতিক্রম করে যায় , তার দিকে লক্ষ্য রাখা হবে । সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা বাড়ার ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে । সুন্দরবনের 4200 বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে 3700 এলাকায় বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র আছে । বাঘ বাড়াতে গেলে আগামী দিনে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল বাড়াতে হবে ৷"

ভারত আর বাংলাদেশের মিলিতভাবে সুন্দরবনের অবস্থান । সুন্দরবনের বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশের দিকেই রয়েছে । ফলে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের দিক থেকে বাঘ ভারতে যেমন ঢুকে পড়ে , তেমনি ভারতের বাঘও বাংলাদেশের জঙ্গলে যাতায়াত করে ৷ তারও প্রমাণ পেয়েছে বনদপ্তর । বাংলাদেশের দিক দিয়ে আগে বন্যপ্রাণী চোরাকারবারীরা ঢুকে পড়ত সুন্দরবনের জঙ্গলে । ইদানিং বনদপ্তরের নজরদারিতে তা অনেকটাই কমেছে । আর চোরা শিকারিদের উপরে নজরদারির ফলেই বেড়েছে বাঘের সংখ্যা । সুন্দরবনের জঙ্গলে নেট ফেন্সিং দেওয়ার কারণে জঙ্গলের বাঘ বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না । এর ফলে বাঘের মৃত্যুর হার যেমন একদিকে কমেছে , তেমনি জঙ্গলে যথেষ্ট পরিমাণে খাবারের ও জোগান বেড়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.