ETV Bharat / state

সমকাজে সমবেতন সহ 9 দফা দাবিতে মিছিল 7টি সংগঠনের

সমকাজে সমবেতন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সমস্ত শূন্যপদ পূরণ সহ মোট 9 দফা দাবিতে আজ যৌথ মিছিল করল 7টি সংগঠন । দুপুর 1টার সময় এই মিছিল সুবোধ মল্লিক স্কয়্যার থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয় । সেখানে নিজেদের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন 7টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা । তারপর সেখান থেকে চারজনের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসে।

মিছিল 7টি সংগঠনের
author img

By

Published : Apr 25, 2019, 6:45 PM IST

কলকাতা, 25 এপ্রিল : সমকাজে সমবেতন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সমস্ত শূন্যপদ পূরণ সহ মোট 9 দফা দাবিতে আজ যৌথ মিছিল করল 7টি সংগঠন । এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পাওয়া ও সরকারি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত স্থায়ী, অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাবন্ধু, SSK, MSK, মিড-ডে-মিল, আশাকর্মী, KGBV কর্মী ও চাকরিপ্রার্থীরা । দুপুর 1টার সময় মিছিল সুবোধ মল্লিক স্কয়্যার থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয় । সেখানে নিজেদের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন 7টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা । তারপর সেখান থেকে চারজনের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসে ।

নিজেদের দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের এখানে সরকারি কর্মচারীরা আছেন, শিক্ষকরা আছেন, শিক্ষাকর্মীরা আছেন, শিক্ষক পদে কর্মপ্রার্থী যাঁরা 29 দিন ধর্মতলাতে অনশন করেন সেই SSC চাকরিপ্রার্থীরা আছেন এবং KGBV অর্থাৎ, কস্তুরবা গান্ধি বালিকা বিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও আছেন । আমাদের দাবি হচ্ছে সমকাজে সমবেতন, সমস্ত অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ করা এবং সর্বোপরি চাকুরিতে স্বচ্ছতা আনা । সরকারি কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ দাবি, পে রিভিশন ও মহার্ঘ ভাতা সঠিক সময়ে মিটিয়ে দিতে হবে । এই সমস্ত কথা দেশের প্রধানমন্ত্রীও বলে বেড়াচ্ছেন সমস্ত মিটিংয়ে ।"

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই নিজেদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলেন, এর মধ্যে দিয়ে কী সরকারকে কোনও বার্তা দিতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে তপনবাবু বলেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি, কর্মচারী, শিক্ষক, কর্মপ্রার্থী, সবাই আক্রান্ত । এখানে পশ্চিমবঙ্গের সরকার কথা শোনে না । তাই নির্বাচনের প্রাক্কালেই আমাদের এই আন্দোলনে নামতে হয়েছে । সরকারের কাছে একটা বার্তা দিতে চাই যে কর্মচারীদের সঙ্গে এই আচরণ করলে, কর্মচারীরা সরকারের সঙ্গে থাকতে পারে না । সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান থাকবে ।"

আজ মিছিলে আরও যে দাবিগুলি তোলা হয়েছিল সেগুলো হল, স্থায়ী পদে স্থায়ী নিয়োগ ও অবসরপ্রাপ্তদের পুনরায় নিয়োগ বন্ধ করতে হবে । নির্দিষ্ট পদে সমস্ত কর্মচারীদের সরকার নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে । কস্তুরবা গান্ধি বালিকা বিদ্যালয় প্রকল্পের কর্মচারীদের দৈনিক বেতন 68 থেকে 170 টাকা । তাও যেদিন কাজ করবেন না সেদিনের বেতন তাঁরা পান না । মহিলা কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি পর্যন্ত নেই । তাই পঞ্চদশ শ্রম সম্মেলন অনুসারে ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে ।

কলকাতা, 25 এপ্রিল : সমকাজে সমবেতন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সমস্ত শূন্যপদ পূরণ সহ মোট 9 দফা দাবিতে আজ যৌথ মিছিল করল 7টি সংগঠন । এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পাওয়া ও সরকারি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত স্থায়ী, অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাবন্ধু, SSK, MSK, মিড-ডে-মিল, আশাকর্মী, KGBV কর্মী ও চাকরিপ্রার্থীরা । দুপুর 1টার সময় মিছিল সুবোধ মল্লিক স্কয়্যার থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয় । সেখানে নিজেদের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন 7টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা । তারপর সেখান থেকে চারজনের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসে ।

নিজেদের দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের এখানে সরকারি কর্মচারীরা আছেন, শিক্ষকরা আছেন, শিক্ষাকর্মীরা আছেন, শিক্ষক পদে কর্মপ্রার্থী যাঁরা 29 দিন ধর্মতলাতে অনশন করেন সেই SSC চাকরিপ্রার্থীরা আছেন এবং KGBV অর্থাৎ, কস্তুরবা গান্ধি বালিকা বিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও আছেন । আমাদের দাবি হচ্ছে সমকাজে সমবেতন, সমস্ত অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ করা এবং সর্বোপরি চাকুরিতে স্বচ্ছতা আনা । সরকারি কর্মচারীদের গুরুত্বপূর্ণ দাবি, পে রিভিশন ও মহার্ঘ ভাতা সঠিক সময়ে মিটিয়ে দিতে হবে । এই সমস্ত কথা দেশের প্রধানমন্ত্রীও বলে বেড়াচ্ছেন সমস্ত মিটিংয়ে ।"

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই নিজেদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলেন, এর মধ্যে দিয়ে কী সরকারকে কোনও বার্তা দিতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে তপনবাবু বলেন, "আমরা দেখতে পাচ্ছি, কর্মচারী, শিক্ষক, কর্মপ্রার্থী, সবাই আক্রান্ত । এখানে পশ্চিমবঙ্গের সরকার কথা শোনে না । তাই নির্বাচনের প্রাক্কালেই আমাদের এই আন্দোলনে নামতে হয়েছে । সরকারের কাছে একটা বার্তা দিতে চাই যে কর্মচারীদের সঙ্গে এই আচরণ করলে, কর্মচারীরা সরকারের সঙ্গে থাকতে পারে না । সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান থাকবে ।"

আজ মিছিলে আরও যে দাবিগুলি তোলা হয়েছিল সেগুলো হল, স্থায়ী পদে স্থায়ী নিয়োগ ও অবসরপ্রাপ্তদের পুনরায় নিয়োগ বন্ধ করতে হবে । নির্দিষ্ট পদে সমস্ত কর্মচারীদের সরকার নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে । কস্তুরবা গান্ধি বালিকা বিদ্যালয় প্রকল্পের কর্মচারীদের দৈনিক বেতন 68 থেকে 170 টাকা । তাও যেদিন কাজ করবেন না সেদিনের বেতন তাঁরা পান না । মহিলা কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি পর্যন্ত নেই । তাই পঞ্চদশ শ্রম সম্মেলন অনুসারে ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে ।

Intro:কলকাতা, ২৫ এপ্রিল: সমকাজে সমবেতন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সমস্ত শূন্যপদ পূরণ সহ মোট ৯ দফা দাবিতে আজ যৌথ মিছিল করলেন ৭টি সংগঠন। এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন সরকারি কোষাগার থেকে বেতন পাওয়া ও সরকারি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত প্রায় ১০০ স্থায়ী, অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক, সাম্মানিক শ্রমিক-কর্মচারি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাবন্ধু, SSK, MSK, মিড-ডে-মিল, আশাকর্মী, কে.জি.বি.ভি কর্মী ও চাকরিপ্রার্থীরা। দুপুর ১টার সময় এই মিছিল সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ার থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নিজেদের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ৭টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারপর সেখান থেকে চারজনের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসেন।
Body:নিজেদের দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারি সমিতির সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের এখানে সরকারি কর্মচারিরা আছেন, শিক্ষক মহোদয়রা আছেন, শিক্ষাকর্মীরা আছেন, শিক্ষক পদে কর্মপ্রার্থী যাঁরা ২৯ দিন ধর্মতলাতে অনশন করেন সেই SSC চাকরিপ্রার্থীরা আছেন এবং কে.জি.বি.ভি অর্থাৎ, কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের কর্মচারীরা আছেন। আমাদের দাবি হচ্ছে সমকাজে সমবেতন, সমস্ত অস্থায়ী কর্মচারিদের নিয়মিতকরণ করা এবং সর্বোপরি চাকুরিতে স্বচ্ছতা। সরকারি কর্মচারিদের গুরুত্বপূর্ণ দাবি, পে রিভিশন ও মহার্ঘ ভাতা। দেশের প্রধানমন্ত্রীও বলে বেরাচ্ছেন সমস্ত মিটিংয়ে। এই সমস্ত দাবি নিয়ে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে যাব। ওখান থেকে কয়েকটি সংগঠন মিলে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিতে যাবে।"

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই নিজেদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলেন, এর মধ্যে দিয়ে কী সরকারকে কোনও বার্তা দিতে চান? তপনবাবু বলেন, "আমরা দেখছি, কর্মচারি, শিক্ষক, কর্মপ্রার্থী, সবাই আক্রান্ত। এখানে পশ্চিমবঙ্গের সরকার কথা শোনেন না। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালেই আমাদের এই আন্দোলনে নামতে হয়েছে। সরকারের কাছে একটা বার্তা দিতে চাই যে, কর্মচারিদের সঙ্গে এই আচরণ করলে, কর্মচারিরা সরকারের সঙ্গে থাকতে পারে না। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান থাকবে।" এদিনের মিছিলে আরও যে দাবিগুলি তোলা হয়েছিল সেগুলো হল, স্থায়ী পদে স্থায়ী নিয়োগ ও অবসরপ্রাপ্তদের পুনরায় নিয়োগ বন্ধ করতে হবে, নির্দিষ্ট পদে সমস্ত কর্মচারিদের সরকার নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় প্রকল্পের কর্মচারীদের বেতন ৬৮ থেকে ১৭০ টাকা। তাও যেদিন কাজ করবেন না সেদিনের বেতন তাঁরা পান না, মহিলা কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি পর্যন্ত নেই। তাই পঞ্চদশ শ্রম সম্মেলনের অনুসারে ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.