কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: আমরণ অনশনে বসলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের 5 পড়ুয়া (5 Students of Kolkata Medical College on Hunger Strike) ৷ তবে, আরও কেউ এই অনশনে যোগ দিতে চাইলে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চলছে মেডিক্যালে । এবার অনশনে বসলেন পড়ুয়ারা ৷ এদিন মেডিক্যালের আন্দোলনকারী চিকিৎসক পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন না তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে, ততদিন এই অনশন চলবে ৷ আর অনশনকারী পড়ুয়াদের কিছু হলে, তার দায় অধ্যক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা ৷
মূলত, ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ারা ৷ তাদের প্রধান দাবি, মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করতে হবে ৷ আর তা করতে হবে কর্তৃপক্ষের পূর্ব নির্ধারিত এবছরের 22 ডিসেম্বর ৷ পাশাপাশি, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সেন্ট্রাল ল্যাব ৷ কার নির্দেশে সেই ল্যাব বন্ধ রাখা হয়েছে, তার জবাব দাবি করেছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷
অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার ছাত্র নির্বাচনের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালীন এক অধ্যাপিকা আন্দোলন চলাকালীন পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলেন ৷ সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধ রাখা এবং আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের অধ্যাপিকার মারধর করার ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরা ৷ মূলত এই তিনদফা দাবিতে আজ দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন মেডিক্যালের 5 পড়ুয়া ৷ তবে, সামনেই মেডিক্যালের পরীক্ষা রয়েছে ৷ সেই কারণে বইপত্র নিয়েই অনশন মঞ্চে যোগ দিয়েছেন সকলে ৷
আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকে আমরণ অনশনের ডাক মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়াদের
এদিন অনশনকারী 5 পড়ুয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এক চিকিৎসক অধ্যাপক অনশন মঞ্চে যান ৷ কিন্তু, তাঁকে অনশনকারী পড়ুয়ারা ফিরে দেয় ৷ জানানো হয়, যে শিক্ষকরা পড়ুয়াদের গায়ে হাত তুলেছে, তাঁদের থেকে সেবা নেবেন না অনশনকারীরা ৷ ওই 5 অনশনকারীর শারীরিক কোনও সমস্যা হলে, বাকি পড়ুয়ারা তাঁদের শুশ্রুসা করতে পারবেন ৷ এই বলে ওই চিকিৎসক অধ্যাপককে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷
এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, "আমরা আলোচনা চাইছি। স্বাস্থ্য দফতর থেকে যদি নির্দেশ না-আসে তাহলে কিছু করার নেই। ল অ্যান্ড অর্ডার আমাদের হাতে নেই। ফিন্যান্স বিভাগের সবুজ সংকেত প্রয়োজন। এনএমসি নিয়ম অনুযায়ী স্টুডেন্টস কাউন্সিল তৈরি করার নির্দেশ আসেনি। কাউন্সিল দরকার নিশ্চই। আমরা চাই স্টুডেন্টস বডি হোক। আমি উচ্চতর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবেশটা সুস্থ জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।"
তিনি আরও জানান, কলেজ কাউন্সিল সবসময় সব সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না-পেলে নির্বাচন সম্ভব নয়। গতকাল বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, 22 তারিখে ভোট কী করে সম্ভব ! 5 থেকে 7 জনের কমিটি গঠন করা হবে ৷