কলকাতা, 24 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার এসএসকেএমে রহস্যমৃত্যু ৷ হাসপাতালের নার্সিং হস্টেলের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হল পড়ুয়া নার্সের ঝুলন্ত দেহ। ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মৃত ওই নার্সিং পড়ুয়ার নাম সুতপা কর্মকার। বাড়ি রায়গঞ্জে। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সুতপার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর তাঁর সহপাঠীরা দাবি করছেন, এই ঘটনা আত্মহত্যা নাও হতে পারে। কারণ, সুতপার দেহটি প্রথমে যে অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে সেটি দেখে কারোরই আত্মহত্যা মনে হয়নি। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট এখনও পর্যন্ত পাননি তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে ভবানীপুর থানার পুলিশ সুতপার একাধিক পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলছে। ঘটনার নেপথ্যে ব়্যাগিংয়ের কোনও গল্প রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, ওই নার্সিং ছাত্রী লিটন হস্টেলে থাকতেন। হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওই ছাত্রীকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে হস্টেলের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্তায় পাওয়া যায় ওই নার্সিং ছাত্রীকে। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জে সুতপার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। সুতপার ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতাল এবং হস্টেলের চারপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷
ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ যদিও এই ঘটনায় লালবাজারের তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে হস্টেলে আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়। পাশাপাশি আসেন ভবানীপুর থানার পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই ভবানীপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'রেজিস্টারে 3 দিনের সই একসঙ্গে করতে গিয়ে ভুল করেছি', তদন্ত কমিটির কাছে দাবি অরিত্রর