কলকাতা, 26 অগস্ট: দীর্ঘ টালবাহানার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসতে চলেছে ক্যামেরা ৷ প্রাথমিকভাবে 26টি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে 21টি বুলেট ক্যামেরা এবং পাঁচটি এএনপিআর ক্যামেরা বসানো হবে। যার জন্য খরচ হচ্ছে 37 লক্ষ টাকার সামান্য বেশি। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইনস্টল হতে চলা প্রত্যেকটি ক্যামেরা এআই প্রযুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
এএনপিআর ক্যামেরাগুলি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বসানো হবে। কোনও গাড়ি বা বাইক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে সেগুলির নম্বর স্বয়ংক্রিয় উপায়ে স্টোর কর রাখতে পারবে এই ক্যামেরাগুলি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের 5টি গেট রয়েছে। এর মধ্যে 1, 2 এবং 3 নম্বর গেটে 2টো করে ক্যামেরা বসলেও সেগুলি এএনপিআর নয়। তবে 4 নম্বর এবং 5 নম্বর গেটে 2টি ক্যামেরার মধ্যে একটি করে এএনপিআর ক্যামেরা ইনস্টল করা হবে। এছাড়াও 11টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও 3টি এএনপিআর ক্যামেরা বসানো হচ্ছে ছাত্রাবাসে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রধান গেটেও বসছে ক্যামেরা। আর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বয়েজ হস্টেলে 2টি করে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অতীতে পড়ুয়াদের একাংশের বিরোধিতায় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো সম্ভব হয়নি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৷ কিন্তু বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে বর্তমানে সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৷ নদিয়ার ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যামেরা ইনস্টল করার দাবি জোরালো হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই ৷ এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পরই বুদ্ধদেব সাউ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেন ৷
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে জুতো দেখাল বিজেপি কর্মীরা
যদিও এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি নয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, "এই 26টা ক্যামেরায় কী হবে? আরও বেশি নিরাপত্তা চাই। শুধু গেটে লাগালেই চলবে না, রাস্তাগুলোতেও ক্যামেরা লাগাতে হবে।" অন্যদিকে এসএফআই'য়ের তরফে রুদ্র চট্টোপাধ্যায় জানান, ব়্যাগিং রুখতে কোনও ক্যামেরা কার্যকর হবে না ৷ তাঁর কথায়, ক্যাম্পাস বা করিডর চত্বরে 26টার বেশি সংখ্যক ক্যামেরা বসলেও নেশাকে আটকানো সম্ভব, কিন্তু ব়্যাগিং নয় ৷
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ দুই ছাত্র সংগঠনের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, "ছাত্ররা এখানে পড়াশোনা করতে আসে ৷ সিসিটিভি কেমনভাবে কাজ করে, সেই বিষয়গুলিই এখানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ানো হয় ৷ পড়ানোর আগেই যদি ওরা বুঝে যায়, সেটা তো হয় না ৷"