কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: আগামী 30 সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিন আসনে নির্বাচন ও উপনির্বাচন। মাত্র তিনটি কেন্দ্রে ভোট হওয়ায় সব বুথেই শান্তি বজায় রাখতে ও সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দান করতে পারে সে কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। তিন আসনে ভোট হলেও পাখির চোখ ভবানীপুর কেন্দ্র। কারণ এই আসনে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সুরক্ষার দিকে কোনও রকম ফাঁক রাখতে নারাজ কমিশন। ওই কেন্দ্রের একশো শতাংশ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷
তিনটি আসন মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা 980। সব বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। এর জন্য মোট 52 কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে 15 কোম্পানি বাহিনী ইতিমধ্যেই রুট মার্চের জন্য রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ৷ 100 শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে উপনির্বাচন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের 288টি বুথের জন্য 15 কোম্পানি, জঙ্গিপুরের 363টি বুথের জন্য 18 কোম্পানি এবং সামশেরগঞ্জের 329টি বুথের জন্য 19 কোম্পানি বাহিনী দিয়েই ভোট করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর, যে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে একটি বুথ থাকছে সেখানে চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবে। অন্যদিকে যে জায়গায় দুই থেকে চারটি বুথ থাকবে, সেখানে এক সেকশন অর্থাৎ আটজন জওয়ান থাকবে ৷ পাশাপাশি যে কেন্দ্রে পাঁচ থেকে আটটি বুথ থাকবে, সেখানে দুই সেকশন অর্থাৎ 16 জন জওয়ান মোতায়েন থাকবে।
ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য একজন পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবে। নির্মল কুমার আজাদ এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকছেন । ভবানীপুর কেন্দ্রের সাধারণ পর্যবেক্ষক ভাষ্কর জ্যোতি শর্মা। মুর্শিদাবাদের দুটি আসনের একজন পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন। সঞ্জয় কুমার থাকবেন মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে । আর সামশেরগঞ্জের দায়িত্বে জি প্রকাশ ও জঙ্গীপুরের সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসেব থাকবেন এস চোখালিঙ্গম।
আরও পড়ুন: দেশকে পাকিস্তান বা তালিবান শাসিত রাষ্ট্রে পরিণত হতে দেব না, বলছেন মমতা
অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারের সময় বাড়ানোর আর্জি নিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককের সঙ্গে দেখা করে বাম প্রতিনিধি দল । প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে রবীন দেব বলেন, কমিশন ভবানীপুর আসনের দিকে যতটা নজর দিচ্ছে, অন্য দুই আসনের দিকে ততটা নজর দেওয়া হচ্ছে না ।