কলকাতা, 21 জুন : ভারতীয় সংস্কৃতির আদিকাল থেকে চলে আসা সুস্থ শরীর গঠনের রীতিনীতি আজও একইভাবে প্রাসঙ্গিক। শুধুমাত্র দূরারোগ্য শারীরিক ব্যাধি নয়, মানসিক অস্থিরতা-সহ একাধিক সমস্যা সমাধানে অমোঘ অস্ত্র যোগাসন । বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী কোরোনা আবহে এই যোগাসনই হয়ে উঠতে পারে শরীর ও মনকে সুস্থ-সতেজ রাখার উপযুক্ত বিকল্প । যোগের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে রইল এমনই সহজ 10 টি যোগ, যা আট থেকে 80- সকলকে সুরক্ষিত রাখতে পারে ।
যোগ দুনিয়ার অতি পরিচিত নাম অধ্যাপক প্রেমসুন্দর দাস । দীর্ঘ 52 বছর ধরে যোগাভ্যাস করা প্রেমসুন্দর দাসের যোগ ও ফিজ়িক্যাল থেরাপির বিভিন্ন সেন্টার, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত তাঁর নিজস্ব যোগ-রিসার্চ সেন্টার রয়েছে । আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে প্রেমসুন্দর দাস বলেন, "বিশ্ব যোগ দিবসে সারা বিশ্বে যোগ স্বীকৃত ও সমাদৃত । ভারতের স্বাস্থ্য চর্চার এই পথ সারা বিশ্বের লোক মেনে নিয়েছেন । তাই বিশ্ব যোগ দিবস পালিত হচ্ছে । 'বহুজন সুখায়ত, বহুজন হিতায়ত', এই হচ্ছে যোগের বার্তা । শারীরিক, মানসিক এবং নৈতিকভাবে সুস্থ থাকা, এই তিনটে যোগ ছাড়া সম্ভব নয় ।"
বর্তমানে গোটা বিশ্ব একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । কোরোনা প্যানডেমিকের জন্য সবাই আতঙ্কিত । এর থেকে বাঁচার উপায়গুলির মধ্যে সবথেকে কার্যকরী শরীরকে সুস্থ রাখা । মন ভালো থাকাও শারীরিক সুস্থতার একটি উপায় । তাই কোরোনা প্যানডেমিকের মোকাবিলা করতে বিশ্ব যোগদিবসে নিয়মিত যোগাভ্যাস করার বার্তা দিলেন প্রেমসুন্দর দাস । তিনি বলেন, "এখন যে প্যানডেমিক হচ্ছে তার থেকে বাঁচতে যোগার প্রয়োজন আছে । শরীরের যে ভারসাম্য রয়েছে, তা নষ্ট হলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায় । তাই যোগ করলে সেই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে । শুধু ওষুধ খেয়ে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় না । শরীরের স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত স্বাস্থ্যের সমন্বয়ে যোগা হবে । তার থেকেও বড় কথা সংযম বা নিয়ম । জানাটা বড় কথা নয়, অভ্যাসটা বড় । স্নান করা, দাঁত মাজার মতোই নিজেকে যোগাভ্যাস করাতে হবে । এভাবেই শরীরকে দিয়ে শরীরের চিকিৎসা করতে হবে । যোগভ্যাস করলে তার উপকার পেতে হবেই হবে । এর কোনও বিকল্প নেই ।"