কালিম্পং, 16 জুন: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড় । পাশাপাশি ধসে বিধস্ত উত্তর সিকিম । ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে । যার জেরে আটকে পড়েছেন প্রায় তিন হাজার দেশ ও বিদেশের পর্যটক । উদ্ধার কাজে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও ভারতীয় সেনা । এর ঘটনায় জেরে উত্তর সিকিমের সঙ্গে রাজধানী গ্যাংটকের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার থেকে রাতভর টানা বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের নদীর জলস্তর আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়েছে । যার ফলে একাধিক জায়গায় ফের ধস নেমেছে । এতে একদিকে যেমন উদ্বেগে রয়েছে জেলা প্রশাসন তেমনই আতঙ্কে দিন কাটছে পাহাড়ের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের ।
এই বিষয়ে কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, "তিস্তা-সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ের নদীর জলস্তর কাল রাত থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে । আশঙ্কাজনক এলাকা থেকে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে । পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে । আমরা সতর্ক রয়েছি ।"
তিস্তায় কর্মরত এক শ্রমিক রাজু সাহা বলেন, "ভোরবেলা থেকে আচমকা জলের স্তর বাড়ছে । সব কাজ বন্ধ রয়েছে । আমরা আতঙ্কে রয়েছি ।" স্থানীয় ব্যবসায়ী সমরেশ দাস বলেন, "জল যেভাবে বাড়ছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক ।"
আরও পড়ুন : আধুনিকতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে গ্রামবাংলার তালপাতার হাতপাখা
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিকিমের পেগংয়ের 10 নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে । যার ফলে সিকিমের সঙ্গে লাচেন, লাচুং, ইয়ুমথামের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । ওই জায়গাগুলোতেই প্রায় 2 হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন ।
অন্যদিকে, ছাঙ্গু ও সোঙমো এলাকার মূল সড়কেও বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে । উত্তর সিকিমের মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার সড়কে ধসের ঘটনা ঘটেছে । এদিকে কালিম্পংয়ে রাতভর টানা বৃষ্টির হওয়ায় তিস্তা ও রংফু নদীর জলস্তর আচমকা বৃদ্ধি পেয়েছে । ওই নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন ।