শিলিগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর: পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কার না ভালো লাগে । পাহাড় মানেই শৃঙ্গ থেকে উঁকি দিয়ে সূর্যোদয় । পাহাড় মানেই পাহাড়ি ঝরনার শীতল স্নিগ্ধ জল । পাহাড় মানেই কুয়াশায় ঘেরা চারপাশ । তাই এ বার পুজোর ছুটিতে ঘোরার জায়গা হোক মনমুগ্ধ করা পাহাড় । পরিবারের সঙ্গে নিরিবিলিতে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় উপভোগ করতে হলে ঘুরে আসতেই হবে কালিম্পং-এর দাঁড়াগাও ।
সেখানে এক টুকরো নির্জনতার মাঝে আছে অনাবিল শান্তি । কুয়াশা আর মেঘের হাতছানির মাঝে পাহাড়ের কোলে বসে দার্জিলিং চায়ের পেয়ালায় ঠোঁট ভেজানো । এটাই যেন স্বর্গ । এটাই যেন ভালো থাকার টনিক । তাই পুজোয় পাহাড়-পর্বতের অপরূপ সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশে নিজের প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটাতে আপনার গন্তব্য হোক কালিম্পংয়ের ওই গ্রাম ।
মুগ্ধ করা পরিবেশ: একটি সুন্দর অফবিট পাহাড়ি গ্রাম দাঁড়াগাঁও । সেখানে গেলে বুঝতে পারা যায় প্রকৃতির কত কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা । সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের পাশাপাশি এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে হিমালয় পর্বতমালা তথা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখার সুযোগ কোনওভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না । চারিদিক দিয়ে পাহাড় দিয়ে ঘেরা ওই গ্রাম । গ্রামের নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী । যার একদিক পড়ছে সিকিমের মধ্যে আর একদিক পড়ছে দার্জিলিং জেলায় ।
দর্শনীয় স্থান ও থাকা-খাওয়া: সেখানে দর্শনীয় স্থান বলতে ব্রিটিশ বাংলো, শিব ধাম, হনুমান মন্দির ও একটি হিমালয় পার্ক । হিমালয় পার্ক থেকে পর্যটকরা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন । রয়েছে একাধিক হোম স্টে । ফোন করে আগে থেকে অনায়াসে বুকিং করা যেতে পারে ।
এছাড়াও টেন্টে রাত যাপনের পাশাপাশি ক্যাম্প ফায়ারের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় চিকেন রোস্ট করে খাওয়ার সুযোগও আছে । মাথাপিছু খরচ দিনে মাত্র 1200 টাকা । এর মধ্যেই থাকা, সকালের জলখাবার, দুপুরে ভাত, সন্ধ্যায় চা টিফিন ও রাতের খাবার সব থাকছে ।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে আপনার গন্তব্য হোক পাহাড়ের ‘হিমেল মুকুট’ লাভা-লোলেগাঁও
কীভাবে যাবেন ? নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে বারমেক দাঁড়াগাও যেতে হবে । সে ক্ষেত্রে গোটা গাড়ি রিজার্ভ করলে খরচ হবে সাত থেকে আট হাজার টাকা । এছাড়াও শেয়ারে আসা যেতে পারে । শেয়ারে আসতে গেলে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি জংশন যেতে হবে । সেখান থেকে যেতে হবে সরাসরি কালিম্পং । সে ক্ষেত্রে শেয়ার ট্যাক্সিতে ভাড়া পড়বে 250 থেকে 300 টাকা ।
তারপরে কালিম্পং থেকে মানসুন কাশিং বলে শেয়ারে ট্যাক্সি পাওয়া যায় । ওই ট্যাক্সি করে বারমেক পৌঁছতে হবে । বারমেক যেতে খরচ হবে মাথাপিছু এক থেকে দেড়শো টাকা । বারমেক পৌঁছে বাস স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে পাহাড়ি রাস্তা ধরে হেঁটেই সেই ছোট্ট গ্রাম বারমেক দাঁড়াগাওয়ে পৌঁছে যাবেন ।