কালিম্পং, 14 জুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব ৷ আর সেই মনোনয়ন পর্বের শুরুর দিন থেকেই কার্যত সন্ত্রাসের আবহ রাজ্যজুড়ে। হিংসার ঘটনা ঘটেছে ডোমকল, বারাবনি, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় ৷ হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তন না-হলেও রাজ্যের স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রত্যেক জেলাতেই কমবেশি স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। কিন্তু ব্যতিক্রম কালিম্পং ৷ উত্তরবঙ্গের জেলাটিতে অতি স্পর্শকাতর তো দূর, একটিও স্পর্শকাতর বুথ নেই।
পাহাড়ি এই জেলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে সেই অর্থে চিন্তার ছাপ নেই। উৎসবের মেজাজে সেখানে নির্বাচন হয়। দার্জিলিংয়ের ঠিক পার্শ্ববর্তী এই জেলায় একটিও স্পর্শকাতর বুথ নেই বলে জানাল জেলা প্রশাসন ৷ আসলে, বিগত নির্বাচনে এই জেলায় কোনওরকম সন্ত্রাস, বুথ জ্যাম কিংবা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি ৷ যে কারণে ওই জেলায় কোনও স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করতেই পারেনি নির্বাচন কমিশন ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।
এ বিষয়ে কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, "এই জেলায় বিগত নির্বাচনগুলিতে কোনওরকম ঝামেলা বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। যে কারণে জেলায় একটিও স্পর্শকাতর বুথ নেই।" জেলার পুলিশ সুপার অপরাজিতা রাই বলেন, "স্পর্শকাতর বুথ নেই। তবে যাতে এই রেকর্ড নষ্ট না-হয়, সে কারণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রুটমার্চ চলছে। প্রত্যেক জায়গায় নজরদারি চলছে। নাকা চেকিং জারি রয়েছে।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে উদ্ধার মাওবাদী পোস্টার, চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়
অখণ্ড দার্জিলিং জেলার সময় পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন দেখেছে কালিম্পংবাসী। পাশের জেলাতেই ঘটেছিল গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মদন তামাং হত্যাকান্ড, পুলিশ কর্মী অমিতাভ মাইতির খুন। এরপর 2017 সালে গঠিত হয় কালিম্পং জেলার। বিধানসভা ও জিটিএ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থাকলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রথমবার হতে চলেছে কালিম্পং জেলায়। সেভাবে প্রত্যন্ত গ্রামে কোন বুথ নেই। এমনিতেই এই জেলা খুব শান্ত। নির্বাচনের সময়েও কোনরকম অশান্তি হবে না বলে আশাবাদী নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন। ওই জেলায় মোট 42টি গ্রাম পঞ্চায়েতে 263 টি বুথ রয়েছে।