ঝাড়গ্রাম, 21 অগস্ট: ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে গালুডি ব্যারেজ থেকে 6 লক্ষ 25 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে (Water Release from Galudi Barrage) ৷ তার জেরে হু হু করে জলস্তর বাড়ছে সুবর্ণরেখা নদীর (Water Level Increase in Subarnarekha River) ৷ এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর 1 ও 2 নম্বর ব্লকের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে (Flood Situation in Gopiballavpur) ৷ ইতিমধ্যে, গোপীবল্লভপুর 1 নম্বর ব্লকের সাতমা গ্রামে সুবর্ণরেখার জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ ফলে গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন ৷
গালুডি ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ত্রাণ শিবির খুলেছে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন ৷ মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় গালুডি ব্যারেজ থেকে 6 লক্ষ 25 হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ ৷ যার পরেই প্রতি ঘণ্টায় প্রায় 10 সেন্টিমিটার করে বাড়ছে সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর ৷
গোপীবল্লভপুর 1 নম্বর ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র বলেন, ‘‘শনিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত গালুডি ব্যারেজ থেকে 6 লক্ষ 16 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷ বিপদসীমা এই মুহূর্তে 45.4 সেন্টিমিটার রয়েছে ৷ এখন জলের অবস্থান রয়েছে 44.6 সেন্টিমিটারে ৷ আশা করা হচ্ছে জলস্তর বিপদসীমা পার করবে না, আমরা নজর রাখছি ৷ এখন যা পরিস্থিতি রয়েছে, তার থেকে আরও হয়তো এক থেকে দুই ফুট জল বাড়তে পারে ৷ যে যে গ্রামগুলিতে প্রতিবছর জল উঠে যায়, সেই সব গ্রামগুলিতে পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করা হয়েছে ৷ গ্রামবাসীদের জন্য একটি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সাতমা গ্রামের ডোমপাড়া থেকে পাঁচটি পরিবারকে সরানো হয়েছে ৷ পঞ্চায়েতের তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম ৷ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি টোল ফ্রি নম্বরও চালু করা হচ্ছে ৷’’
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ও ভরা কোটালের জোড়া ফলায় প্লাবিত সুন্দরবন
তবে, আগে একসঙ্গে এত জল কখনও ছাড়া হয়নি বলে জানান বিডিও ৷ গতবছর সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল ৷ এখনও পর্যন্ত কোন প্রাণহানি বা জীবজন্তু মারা যাওয়ায় কোন ঘটনা ঘটেনি । যতদূর সম্ভব আরও একটি গ্রামের বেশ কিছু মানুষকে সরাতে হবে । তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে ৷