ঝাড়গ্রাম, 30 এপ্রিল: সাঁওতাল মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর 135তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হল ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে ৷ রবিবার সকালে সাধু রামচাঁদ মুর্মুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে তাঁর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয় । ইন্ডিজেনাস পিপিলস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত খেরওয়াল সোরেন (কালিপদ সোরেন) । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ইন্ডিজেনাস পিলিপস ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ সোরেন ।
এছাড়াও এই সাঁওতাল মহাকবিকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত নিরঞ্জন হাঁসদা , গুরুপদ মুর্মু , অতুল হাঁসদা , পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পরিষদের সদস্য রবীন্দ্রনাথ সোরেন প্রমুখ ৷ উল্লেখ্য, 1304 বঙ্গাব্দের 16 বৈশাখ ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত বিনপুর 2 নম্বর ব্লকের শিলদা এলাকার কামারবাঁধি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাঁওতালি সমাজের মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মু । সাঁওতালি সমাজের উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি একাধিক গান ,সাহিত্য, কবিতা রচনা করেছেন । ছোট থেকেই এই মহাকবি মেধাবী ছাত্র ছিলেন ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত ভীমপুরে মিশনারী সাঁওতাল ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উদ্যোগে আবাসিক স্কুলও স্থাপন করেছিলেন তিনি । সাঁওতালি সমাজকে জাগ্রত করার জন্য "দেবন সিঙ্গুর আদিবাসী বীর" নামের গান রচনা করেছিলেন যা বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ড , অসম , ওড়িশা-সহ সমস্ত আদিবাসী সমাজের মানুষজনের মুখে এখনও শোনা যায় । সাধু রামচাঁদ মুর্মুর লেখা সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে 'সারি ধরম পেলেন পুঁথি', 'অল দহ অনড়হেঁ', 'লিটো গোড়েৎ' ,'সংসার ফেঁদ' ,'ঈশরড়'-সহ একাধিক সাহিত্য ও কাব্যগ্রন্থ ।
আরও পড়ুন: মননের বিকাশে মাঠের বিকল্প নেই, মোবাইলে মগ্ন পড়ুয়াদের বিশেষ বার্তা ব্রাত্যর
এদিন পদ্মশ্রী খেরওয়াল সোরেন বলেন, "আজ সাঁওতালি মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর 135 তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হল । তিনি সাঁওতালি সমাজকে জাগ্রত করার জন্য সাহিত্যের ও গানের মাধ্যমে সমাজকে উন্নতির পথে তরান্নিত করেছেন । নেশা মুক্ত ও উন্নত সমাজ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি ৷"