ঝাড়গ্রাম, 21 ডিসেম্বর : শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই রং বদল নেতাই গ্রামের ৷ নেতাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির শহিদ বেদির পাশে জোড়া ফুলের বদলে উড়ছে পদ্মের পতাকা।
2011 সালের সাত জানুয়ারি নেতাইয়ে গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর সাত জানুয়ারি নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। খোঁজখবর নেন নেতাই গ্রামের মানুষের ৷ তাঁদের অভাব, অভিযোগ-সমস্যার কথা শোনেন তিনি । শুভেন্দু তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেতাই গ্রামে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলেও দাবি গ্রামবাসীর। শুভেন্দুর হাত ধরেই চাকরি পেয়েছেন অনেকে ৷ কিছুদিন আগে শুভেন্দু নিজ উদ্যোগে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য 52টি সেলাই মেশিন এবং গৃহহীনদের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করে দেন বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন : "বিজেপি তৃণমূলের বি টিম", তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সুজাতা
আরও পড়ুন : কথা বলে সন্তুষ্ট অধ্যক্ষ, গৃহীত হল শুভেন্দুর ইস্তফা
নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে অরাজনৈতিক মঞ্চে প্রতিবছর নেতাইয়ে শহিদ দিবস পালিত হয় ৷ অরাজনৈতিক মঞ্চ হলেও আয়োজক থাকেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা । প্রতিবছর সেই মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রং বদলে গেল নেতাই গ্রামের । গ্রামজুড়ে এখন তৃণমূলের বদলে বিজেপির ঝান্ডা। কোথাও দিলীপ ঘোষ, কোথাও কৈলাস বিজয়বর্গীয়, আবার কোথাও নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত ব্যানার। সারা গ্রামজুড়ে একই চিত্র ৷ গ্রামেই নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির শহিদ বেদি। সেখানেও দেখা গেল বিজেপির ঝান্ডা । তৃণমূলের পতাকা নেই বললেই চলে ।
নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি দ্বারকানাথ পান্ডা বলেন, গ্রামের লোক অনেকেই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন । শুভেন্দু কোন দলে গেলেন কী করলেন তা এই গ্রামের কেউ কিছু দেখবে না । শুভেন্দু অধিকারী আমাদের গ্রামকে ভালবাসেন। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামের সঙ্গে যুক্ত। উনি যে দলই করুক না কেন আমরা ওঁকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি অধিকারী পরিবারকে । সুতরাং ওঁকে আমরা দল হিসেবে দেখি না, মানুষ হিসেবে দেখি । নেতাই গ্রামের লোক শুভেন্দু অধিকারীকেই চেনে, তাঁর রাজনৈতিক রংকে প্রাধান্য দেয় না।
নিহত সরস্বতী ঘড়াইয়ের ছেলে তুষার ঘড়াই বলেন, শুভেন্দুবাবু আমাদের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছেন ৷ আমরাও সারাজীবন ওঁর পাশে থাকব।