ঝাড়গ্রাম, 25 মার্চ: বৈশাখ মাস মানেই কালবৈশাখীর মরশুম শুরু হয়ে যাওয়া ৷ কখনও কখনও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস জারি হয় ৷ ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে গ্রামবাসীরা কীভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করবেন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কীভাবে মানুষকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে নাগরিকদের উদ্ধার করবে তা নিয়ে একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হল ঝাড়গ্রামে (NDRF rehearsal to coping with Cyclone in Jhargram)। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্যোগে এনডিআরএফ-এর সহযোগিতায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার মহড়া হয়। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর 1, গোপীবল্লভপুর 2, সাঁকরাইল এবং ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ায় এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল ।
কোনও বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রতিটি দফতরকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কীভাবে কাজ করে তা এই মহড়ার মাধ্যমে উঠে আসে । এদিনের মহড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল ৷ ঘূর্ণিঝড় আসার পূর্বে যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং'য়ের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয় এবং নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য জানানো হয় ঠিক সেভাবে বৃহস্পতিবার মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন মাঠে সাইরেন বাজিয়ে এলাকার মানুষজনকে ঘূর্ণিঝড় আসছে বলে সতর্ক করা হয়। তারপরে গ্রামের মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আসার পূর্বে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।
আরও পড়ুন : জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে পথে নামল শিক্ষক সংগঠন
এছড়াও ত্রাণ শিবিরেরও আয়োজন করা হয় মহড়ায়। যেখানে ত্রিপল, মহিলাদের জন্য শাড়ি ,পুরুষদের জন্য লুঙ্গি, ধুতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছিল । এই অবস্থায় মহড়ায় দেখানো হয় ঘূর্ণিঝড় থেমে যাওয়ার পর যদি দেখা যায় কোনও গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়েছেন বেশ কয়েকজন । আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা কীভাবে দেওয়াল কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তাদের উদ্ধার করেন, তাও দেখানো হয় এনডিআরএফের পক্ষ থেকে ৷ এনডিআরএফ সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ান হরিণঘাটার ইনসপেক্টর সন্তোষ কুমার ঠাকুর টিম কম্যান্ডার বলেন, "এখানে যদি ঘূর্ণিঝড় আসে তাহলে আমরা কীভাবে মোকাবিলা করতে সেই মহড়া হয় । মহড়ার মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের সময় কীভাবে পুলিশ ,প্রশাসন, সিভিক ডিফেন্স ভলান্টিয়ার, আপদা মিত্র এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী, স্বাস্থ্য দফতর, বিদ্যুৎ দফতর একসঙ্গে কাজ করবে তা তুলে ধরা হয় । সবাই একযোগে কাজ করে বেশি সংখ্যক মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া যায় এটা তুলে ধরা হয়েছে। সফলভাবে আমাদের এই মহড়া সম্পূর্ণ হয়েছে।"