ঝাড়গ্রাম, 8 মার্চ: ফেসবুক ও অনলাইনের সূত্র ধরে সুরাত থেকে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করার পাশাপশি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ । বুধবার রাতে দু'জনকেই ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয় (Jhargram News)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর সাঁকরাইল থানা এলাকার 17 বছরের এক নাবালিকা স্কুলে যাওয়ার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি ।
পরিবারের লোকজন খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি থানার অন্তর্গত খড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে । নাবালিকার বাবা সাঁকরাইল থানায় গত বছর 5 ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ জানান । সেই ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ । তদন্তে নেমে খড়িপাড়া গ্রামে বেশ কয়েকবার হানা দিলেও বাড়িতে কাউকে পায়নি পুলিশ । একদিন গভীর রাতে হানা দিয়ে অভিযুক্তের বাবা শুক্রা রাউতকে গ্রেফতার করে পুলিশ । 18 ডিসেম্বর তাঁকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করা হয় (Jhargram Kidnapping News)। বর্তমানে শুক্রা রাউত জেলবন্দি রয়েছেন ।
এদিকে সাঁকরাইল থানার পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধারের জন্য প্রতিনিয়ত তদন্ত চালিয়ে যায় । ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ও এসওজি সেল প্রতিনিয়ত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ফোনের টাওয়ার লোকেশন সার্চ করতে থাকে । সেই সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে গুজরাতের সুরাতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয় রাউত ও ওই নাবালিকা । এরপরই সাঁকরাইল থানার তদন্তকারী অফিসার সুদীপ মাহাতোর নেতৃত্বে দুই মহিলা কনস্টেবল ও এক কনস্টেবলকে নিয়ে চারজনের একটি টিম চলতি বছরের 28 ফেব্রুয়ারি রওনা দেয় সুরাতের উদ্দেশ্যে ৷
সুরাতে পৌঁছে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত করে 4 মার্চ নাবালিকাকে একটি ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ । সেদিনেই সুরাতের স্থানীয় আদালতে পেশ করা হলে ট্রানজিট রিমান্ডে সাঁকরাইল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় আদালত । 7 মার্চ সকালে ট্রেনে করে দু'জনকে নিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ । বুধবার বিকেলে খড়গপুরে পৌঁছে রাতেই পেশ করা হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে । নাবালিকার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত । বিচারক অভিযুক্ত যুবকের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন এবং নাবালিকাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন ।
আরও পড়ুন : ভেস্তে গেল বন্ধুকে অপহরণের ছক, পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার 5